ডেস্ক নিউজ
বর্তমান সরকারের আমলে যে হারে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে- মনে হচ্ছে এটি সিঙ্গাপুরের আদলে আরও একটি নতুন সিঙ্গাপুর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সৈকতরানী কক্সবাজারকে সাজানো হচ্ছে মনের মতো করে। উদ্দেশ্য বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি পর্যটন খাতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।
জানা যায়, রেল লাইন স্থাপন, সাগরের পানি ছুঁই ছুঁই রানওয়ে সংবলিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন, মাতারবাড়ি কয়লা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র, খুরুশকুলে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও শেখ হাসিনা টাওয়ারসহ ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ চলছে কক্সবাজারে। কক্সবাজারে সিনিয়র সাংবাদিক আকতার হোছাইন কুতুবীর উদ্যোগে আল-ওয়াজেদ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শুক্রবার সন্ধ্যার আগে এক সিআইডি কর্মকর্তা সাংবাদিকের এসব তথ্য দেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারে সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে নতুন সিঙ্গাপুর তৈরি করা হচ্ছে। সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ উপস্থিত সৈকত শহরের স্থায়ী বাসিন্দা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কক্সবাজার জেলাব্যাপী ব্যাপক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রসংশা করেন। সূত্র মতে, বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকতে বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ইতোমধ্যে বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।
এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি পরিবারকে ঘরের চাবি স্থানান্তরের পর থেকে প্রত্যেহ দলে দলে দর্শনার্থী এই দৃষ্টিনন্দন আশ্রয়ণ প্রকল্প দেখতে যান খুরুশকুলে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভিড় জমাচ্ছে বিনোদনপ্রেমীরা। খুরুশকুল ইউয়িনের চতুর্দিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসে এখানে। মহেশখালীর চ্যানেল নিয়ে গড়ে উঠায় এই বিনোদন কেন্দ্রটি সহজে পর্যটনপ্রেমীদের মন কাড়ে।