ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, যুদ্ধে বিশ্বাস করি না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি স্পষ্ট। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। কিন্তু যদি কখনো আমরা আক্রান্ত হই, আমাদের সেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে নিজের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার। সেভাবেই আমাদের সব সময়, প্রযুক্তিগত শিক্ষা, যুদ্ধশিক্ষা-সব শিক্ষাই আমাদের গ্রহণ করতে হবে এবং সে জন্য আমি সব সময় প্রশিক্ষণকে বেশি গুরুত্ব দিই।’
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে ‘জিআরওবি-১২০টিপি’ প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন উপলক্ষে বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যশোরে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হলো ১২টি প্রশিক্ষণ বিমান। এই বিমানের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। এটা আমরা জার্মানি থেকে সংগ্রহ করেছি। আগামীতে আরও কয়েকটি বিমান বিমান হ পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ১
বাহিনীতে যুক্ত হবে ইনশাআলস্নাহ। সে প্রচেষ্টা চলছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন ধরনের বিমান, রাডার যন্ত্রপাতির সুস্থ নিরাপত্তাব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবনধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। সম্প্রতি বিমান বাহিনীর উদ্যোগে প্রোটোটাইপ বিমান দেশেই তৈরি করার যে গবেষণা চলছে, সেটা আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে।
বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সুনাম অর্জন করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়। সেই বিবেচনা থেকে আমি সব সময় মনে করি, আমাদের প্রতিটি বৈমানিক, প্রতিটি সদস্য- প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রেনিং পাক। সেটার ওপর আমি সব সময় গুরুত্ব দেই।’
বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকেই বিভিন্ন সময় আপনারা দেশ ও জনগণের সেবায় যেভাবে আত্মনিয়োগ করেছেন, তা নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ ও প্রশংসার দাবি রাখে।’
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবতার সেবায় বিমান বাহিনীর অংশগ্রহণের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি চলমান কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিমান বাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন।
বিমান বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
দেশের পররাষ্ট্রনীতি উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, যুদ্ধে বিশ্বাস করি না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। যদি আমরা কখনো আক্রান্ত হই, তখন নিজের দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। সে কারণে আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিমান বাহিনী উদ্ধার কাজ করে। কোভিডকালে অসুস্থ মানুষকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও বিমান বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭৭ সালে যখন মেজর জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিমান বাহিনীর প্রায় ৬০০ সৈনিককে হত্যা করা হয়েছিল। ২১ বছর পর সরকারে এসে আমরা বিমান বাহিনীকে নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেই। বিমান বাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ধরনের উন্নয়ন এবং সরঞ্জাম সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।