ডেস্ক নিউজ
করোনায় বিধ্বস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বের দেশে দেশে শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হয়ে এসেছে। শহিদ ইসলাম পাপুল নামের একজন এমপি’র অপকান্ডে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার হুমকির মুখে। সউদী আরবেও শ্রমবাজার আগের মতো নেই। তবে মুসলিম রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের মহানুভবতায় বৈশ্বিক করোনা মহামারিকালেও সুবাতাস বইছে শ্রমবাজারে। তেলসমৃদ্ধ দেশ মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মহানুভবতায় ভাগ্য খুলছে বাংলাদেশি ট্যুরিস্টদের। করোনা মহামারি কিছুটা শিথিল হওয়ায় দেশটির সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ার্ক ভিসা চালু না করলেও ভিজিট ভিসায় আগত অভিবাসীদের ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর দেশটির কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়ে ভিজিট ভিসার ওপর সত্যায়ন করে দিচ্ছে।
ভ্রাতৃপ্রতীম সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরাত সফরকালে দেশটির আমিরের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ থেকে বেশি বেশি কর্মী নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আমিরাতের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০ সালে আমিরাত থেকে প্রবাসীরা ২৫০৭ দশমিক ৬৪ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। নানা কারণে ২০১২ সালে আগস্ট মাস থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। তবে এতদিন হাতে গোনা কিছু কর্মী যেত দেশটিতে।
বিএমইটি সূত্র জানায়, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৬২৭ বাংলাদেশি কর্মী চাকরি লাভ করেছে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৭৫ জন মহিলা গৃহকর্মী চাকরি লাভ করেছে। বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
প্রবাসী মন্ত্রণালয় সত্যায়িত ভিজিট ভিসার কর্মীদের বৈধভাবে বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু করছে। প্রতিদিন শত শত কর্মী ভিজিট ভিসায় আমিরাতে গিয়ে স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে বাংলাদেশিসহ সোর্স কান্ট্রিগুলোর অভিবাসী কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু চড়া দামে বিমানের ওয়ানওয়ে টিকিট কিনতে বিদেশগামী কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে। দেশটির বেসরকারি নিয়োগকারীরাও বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান, বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশনে দুবাইগামী ভিজিট ভিসার যাত্রীদের কাছ থেকে বখশিসের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা। এতে অভিবাসন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যে, এসব বিষয় দেখার যেন কেউ নেই। ভুক্তভোগীদের মতে, বিমানবন্দরে দুবাইগামী ভিজিট ভিসার যাত্রীদের অহেতুক হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম ১০ গুণ থেকে ১২ গুণ বৃদ্ধি করায় টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে। বিভিন্ন রুটের ওয়ানওয়ে টিকিট ৬০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিকিট সঙ্কটের দোহাই দিয়ে চড়া দামে টিকিট বিক্রি করছে চিহ্নিত ট্রাভেলস এজেন্সিগুলো। এজেন্সিগুলোর দাবি, এয়ালাইন্স কর্তৃপক্ষ টিকিটের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের করার কিছুই নেই। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা বন্ধ শ্রমবাজার পুনরায় চালু এবং নতুন নতুন শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি নারী-পুরুষ কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিয়োগকারী কোম্পানিগুলো ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে। গত ২৬ জানুয়ারি আবুধাবিস্থ ইলেক্ট্রোল্যাক্স মেইনটেন্যান্স কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ৩৫০ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য নয়া পল্টনস্থ মিড লাইন ইন্টারন্যাশনালকে চাহিদাপত্র দিয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়িত এসব কর্মী আমিরাতের শ্রমআইন অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পাবেন। মিড লাইন ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ফজলুল মতিন তৌহিদ ইনকিলাবকে জানান, আমিরাতের বিভিন্ন সেক্টরে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন যাবত কর্মী নিয়োগ বন্ধ থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদগুলো পূরণে জনবলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, আমিরাতের ইলেক্ট্রোলাক্স কোম্পানি দ্রুত কর্মী পাঠাতে তাগিদ দিচ্ছে। এসব কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যুসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
আমিরাতের বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলোর কাছে দিন দিন কদর বাড়ছে বাংলাদেশিদের। করোনা মহামারির মাঝেও কর্মীর চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ভিজিট ভিসায় কর্মী নিয়ে ওয়ার্ক ভিসা স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নিয়োগকর্তারা। ভিজিট ভিসায় কর্মী নিয়ে ওয়ার্ক ভিসা বের করে দিতে না পারলে তাদের বিমানভাড়া দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর অঙ্গীকার দেয়ায় দূতাবাস সত্যায়ন দিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস যাবত আরব আমিরাতে ভিজিট ভিসায় আগত বাংলাদেশিদের ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কোম্পানির বা পার্টনার ভিসা লাগানোর সুযোগ থাকায় কর্মসংস্থানের খোঁজে হাজার হাজার বাংলাদেশি যাচ্ছেন আমিরাতে। অপরদিকে কর্মী সঙ্কটে শোচনীয় পরিস্থিতিতে থাকা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কোম্পানির মালিকরাও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগে ঝুঁকছেন বাংলাদেশিদের দিকে। এরই মধ্যে ভিজিট ভিসায় দেশটিতে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিয়োগ ভিসাও লাগিয়েছেন অনেকে। এমন স্বস্তি ও সুখবরের কথাই জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। বিশেষ করে দীর্ঘ সাড়ে ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমিরাতে বাংলাদেশিদের নতুন নিয়োগ ভিসা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের দেশীয় কর্মীর অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে গিয়ে চরমভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এর ফলে তারা কর্মী নিয়োগে ঝুঁকে পড়েছিলেন ভারত ও পাকিস্তানের দিকে। এখন ভিজিট ভিসায় আমিরাতে যাওয়া বাংলাদেশিদের নিয়োগ ভিসা লাগানোর সুযোগ থাকায় দেশীয় কর্মীদের নিয়োগে ঝুঁকছেন তারা। তাই দেশীয় কর্মীদের নিয়োগ ভিসা লাগাতে পেরে কিছুটা স্বস্তির পাশাপাশি মন্দের ভালো হিসেবেও দেখছেন তারা।
তবে ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেছেন, আরব আমিরাত সরকার যেহেতু ভিজিট ভিসায় দেশটিতে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কোম্পানির বা পার্টনার ভিসা লাগানোর সুযোগ দিয়েছেন, সেহেতু এ সুযোগটি হাতছাড়া না করে কাজে লাগাতে পারলে ব্যবসায়ীরা যেমন দেশীয় কর্মী সঙ্কটে শোচনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাবলম্বী হবেন, তেমনিভাবে নতুন কর্মসংস্থান হবে হাজার হাজার বাংলাদেশির।
বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোতে আমিরাতের ভিজিট ভিসাধারীদের সহজভাবে দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার পাশাপাশি দু’দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা আবারো জোরদার করে খুব শিগগিরই নতুন নিয়োগ ভিসা খোলার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে দেশের ভাব-মর্যাদা উজ্জ্বলে ভিজিট ভিসায় আমিরাতে গিয়ে কেউ যেন ভিজিট ভিসার অপব্যবহার না করেন অর্থাৎ ভিজিট ভিসার মেয়াদে নিয়োগ ভিসার সুযোগ না নিয়ে মেয়াদ শেষে অবৈধ হয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকা এবং আদম দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত না হন, সেদিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বায়রার সাবেক অর্থ সচিব ফখরুল ইসলাম আমিরাত সরকারের মহানুভবতায় ভিজিট ভিসা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ায় দেশটির সরকার প্রধানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, আমিরাতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলোর অঙ্গীকার নিয়েই সত্যায়ন দিচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের বৈধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ভিজিট ভিসার যাত্রীরা আমিরাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। তার মতে, বিমানবন্দরে এখন আর অসাধু কর্মকর্তাদের বকশিস দেয়ার প্রয়োজন নেই।
এদিকে, সাউথ আফ্রিকার নিকটবর্তী বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারে নতুন শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে একটি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এমসিটি ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট এসডিএন বিএইচডি’র সুবাদে উল্লেখিত শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে। বিএমইটির অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী মার্চ মাস থেকেই দেশটিতে কর্মী যাওয়া শুরু হবে। মাদাগাস্কার মেগা হাউজিং প্রজেক্টে সহস্রাধিক কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্রে অনুমোদনের জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মনিরুস সালেহীনের কাছে আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি এশিয়া কন্টিনেন্টাল গ্রুপের সিইও লোকমান শাহ গতকাল শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নতুন শ্রমবাজার মাদাগাস্কারের মেগা হাউজিং প্রকেক্টে এসব কর্মীর বেতন হবে তিনশ’ থেকে চারশ’ মার্কিন ডলার। নতুন শ্রমবাজার মাদাগাস্কারের মেগা হাউজিং প্রজেক্টে দক্ষকর্মী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া থেকে এমসিটি ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট এসডিএন বিএইচডি’র চিফ কো-অর্ডিনেটর মি. জোসেফ ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ দেশটির আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। দেশটির আঞ্চলিক ভাষা মালাগাসি। জনসংখ্যা ২ কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৭ লাখ মুসলমান দেশটিতে বসবাস করছেন। মরিশাসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর নতুন শ্রমবাজার মাদাগাস্কারে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র যাচাই বাছাই করে সত্যায়ন করেছেন। কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র অনুমোদনের লক্ষ্যে কাগজপত্র বিএমইটিতে পেশ করা হয়েছে। এসব কর্মী শুধু প্লেন ফেয়ার দিয়েই দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
মরিশাসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর মো. ওহিদুল ইসলাম মাদাগাস্কার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্সেলর লেবার ইনকিলাবকে বলেন, মালয়েশিয়ান কোম্পানি এমসিটি ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী মাদাগাস্কারে ১০ হাজার হাউজিং প্রজেক্টের কাজ পেয়েছে। এসব নির্মাণ প্রজেক্টে কর্মীদের বেসিক বেতন হবে ২৫ হাজার টাকার মতো। আর ওভারটাইম পেলে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবে কর্মীরা।
নতুন শ্রমবাজার মাদাগাস্কারে যেতে কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কত হবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্সেলর লেবার বলেন, ঢাকা-দুবাই-ক্যানিয়া হয়ে দেশটিতে পৌঁছতে কর্মীদের শুধু প্লেন ফেয়ার দিতে হবে। অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে না। দেশটির মুদ্রার নাম মালাগাসি আরিয়ারি। ১ হাজার আরিয়ারির সমান আড়াইশ’ বাংলাদেশি টাকা। তিনি বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে চার গুণ বড়। লেবার সেন্ডিং কান্ট্রি হিসেবে পরিচিত হলেও দেশটির কৃষি, মৎস্য ও নির্মাণ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশটির নতুন শ্রমবাজার যেন নষ্ট হয়ে না যায়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে বলেও লেবার কাউন্সেলর উল্লেখ করেন।