যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটেও জয়ের পর জো বাইডেন বলেছেন ‘জনগণের ইচ্ছের জয় হয়েছে’।
যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ফলও গ্রহণ করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৩২ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের বিপরীতে মিস্টার বাইডেন ৩০৬ ভোটে জয় নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী ভোটাররা আসলে ব্যালটে ভোট দিয়ে ‘ইলেক্টরস’ নির্বাচিত করে যারা নির্বাচনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন।
সাধারণত ইলেক্টররা খুব বেশি আলোচনায় আসেন না কিন্তু এবার যেহেতু নির্বাচনের ফল নিয়ে মিস্টার ট্রাম্প ক্রমাগত প্রশ্ন তোলা ও আইনি পদক্ষেপসহ নানাভাবে ফল পাল্টানোর চেষ্টা করেছেন মামলা করার মাধ্যমে, সেহেতু প্রতি রাজ্যের ভোটের দিকেই নজর ছিলো সবার।
সোমবার মূলত ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৫ জন ইলেক্টরস এর মাধ্যমেই বাইডেনের ২৭০ ভোট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো।
মিশিগান ও জর্জিয়াসহ কয়েকটি রাজ্যে কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ আয়োজন করা হয়েছিলো।
মিশিগানে সহিংসতার আশংকায় আইনসভার অফিসগুলো বন্ধ ছিলো।
পরবর্তী পদক্ষেপে যা হবে
ভোটের ফল ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হবে এবং কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে আগামী ৬ই জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক গণনা হবে।
ওই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
এটাই আগামী বিশে জানুয়ারি মিস্টার বাইডেনের শপথ নেয়ার পথ তৈরি করবে।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে মিস্টার বাইডেন জয়ী হলে তিনি জানুয়ারিতে অফিস ছেড়ে যাবেন।
যদিও নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তিনি ক্রমাগতভাবে করেই যাচ্ছেন, কিন্তু তার কোন প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
‘
ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট
‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের ‘ইলেকটরস’ বলা হয়। এরা এক কথায় নির্বাচক মণ্ডলী। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয়, এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টকে বাছাই করেন।
কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি স্টেটের ইলেকটরসের সংখ্যা নির্ধারিত হয়: যা নির্ধারিত হয় স্টেটে সেনেটরের সংখ্যা (প্রত্যেক স্টেটে দুইজন) এবং প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিনিধির (যা জনসংখ্যার অনুপাতে) যোগফল মিলে।
সবচেয়ে বড় ছয়টি স্টেট হলো ক্যালিফোর্নিয়া (৫৫), টেক্সাস (৩৮), নিউইয়র্ক (২৯), ফ্লোরিডা (২৯), ইলিনয় (২০) এবং পেনসিলভেনিয়া (২০)।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা