ডেস্ক নিউজ
রমিজ শেখ, কান্দুনী বালা, ভবেশ গুনজারসহ শত শত দিনহীন, ভ‚মিহীন, গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষ। বেদনার্ত তাদের জীবন। কারও ছিল না নিজস্ব কোন স্থায়ী ঠিকানা। সবার নূন আনতে পান্তা ফুরোয়। মাঠে-ঘাটে কাজ করে যা পায়, তাই দিয়ে টেনেটুনে চলে তাদের জোড়াতালির সংসার। দুই-তিন দশক ধরেই সরকারী খাস জমি কিংবা পরের পরিত্যক্ত জমিতে ভাসমান হয়ে কোনভাবে মাথা গুঁজে দিন কেটেছে তাদের।
হাত পেতে কিংবা স্বল্প টাকায় মাঠে-ঘাটে কাজ করে নিজের সংসার চালানোই দায়। সেখানে একখণ্ড জমি কিনে সেখানে বাড়ি করা- তা যেন ‘মাটিতে থেকে চাঁদ ছোঁয়া’র মতো অলিক কল্পনা, স্বপ্নাতীত। কিন্তু গত ২৩ জানুয়ারি সেই চাঁদ ছুঁয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বদৌলতে। বিনামূল্যে পেয়েছেন নিজস্ব স্বপ্ননীড়, নিজস্ব ঠিকানা। বিনামূল্যে দুই শতাংশ ভ‚মির মালিকানাসহ পাকা বাড়ির দলিল নিয়ে নিজ স্বপ্ননীড়ে এখন বাস করছেন দিনহীন এসব মানুষরা।
মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গত ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একসঙ্গে ৬৫ হাজার ৪০ জন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে উপহার দিয়েছেন স্বপ্নের নিজস্ব ঠিকানা। ‘স্বপ্নের স্থায়ী নীড়’ পেয়ে বিশাল প্রাপ্তি, মুখে আনন্দের হাসি, উচ্ছ¡াস ও আনন্দাশ্রæর পাশাপাশি সারাদেশের ভিক্ষুক, ছিন্নমূল, বিধবা, দিনমজুর, বেদে, দলিত, হরিজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ যুগ যুগ ধরে ভাসমান জয়ে চলা গৃহহীন-ভ‚মিহীন ৬৫ হাজার পরিবারের প্রায় তিন লাখ মানুষের সত্যিই এক অন্যরকম দিন কেটেছে সেদিন। যুগের পর যুগ ঠিকানাবিহীন মানুষের স্থায়ী নিবাস প্রাপ্তি উপলক্ষে সারাদেশের উপজেলা প্রান্তগুলোতেও ছিল রীতিমতো উৎসবের আমেজ, দেশজুড়ে বইয়ে গেছে আনন্দধারা। প্রথম পর্যায়ে ৬৫ হাজারের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশের আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় মানুষ বিনামূল্যে পাচ্ছেন একখণ্ড জমির ওপর নির্মিত ‘স্বপ্নের স্থায়ী নীড়, স্বপ্নের নিজস্ব ঠিকানা’। প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আগামী ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের কাছে দুই শতক জমির নির্মিত পাকা বাড়ির দলিল তুলে দেবেন।
এক সঙ্গে এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে সম্পূর্ণ সরকারী খরচে গৃহহীন-ভ‚মিহীনদের জমি ও গৃহ প্রদানের ঘটনা সারাবিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। শুধু দেশেই নয়, সারাবিশ্বের মধ্যে মানবকল্যাণে এক অনন্য নজির ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ অর্থাৎ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও এক লাখ ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহপ্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলেছে এসব গৃহ নির্মাণ কাজ।
জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে আর দেশের আরও ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারের অনেকটাই দূর হচ্ছে তাদের আক্ষেপ। কারণ মাত্র তিনদিন পরই পরই তারা পাচ্ছেন নিজস্ব স্বপ্ননীড়, নিজস্ব ঠিকানা। সবার সামনে এখন বিনামূল্যে দুই শতাংশ ভ‚মির মালিকানাসহ পাকা বাড়ি পাওয়ার স্বপ্ন। এমন প্রাপ্তির আনন্দ-উচ্ছ¡াস এখন দিনহীন লাখো মানুষের চোখে-মুখে। গৃহহীনরা তাদের স্বপ্নের পূর্ণতা পাওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
এটি কোন গল্প বা স্বপ্ন নয়। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের সম্পূর্ণ বাস্তবতার চিত্র। পৃথিবীর অর্থনৈতিক বড় ধনী দেশগুলো যেটি এতদিন করতে পারেনি, সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন, তিনি আর কেউ নন। তিনি হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনি প্রায় পৌনে দুই লাখ ভ‚মিহীন-গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারী খরচে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উপহার দেবেন ‘স্বপ্নের নীড়’, দুই শতক জমির মালিকানাসহ সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের পাকা বাড়ির স্থায়ী ঠিকানা।
বুধবার জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের একজন মানুষও ভ‚মিহীন থাকবে না উল্লেখ করে বলেছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১টি। আর জমি আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার রয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি। ‘দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন থাকবে না’ এ ঘোষণা বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে সকলকে পুনর্বাসন করা হবে। তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি ৬৫ হাজার ৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুন আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি ঘর দেয়া হবে।
সংসদ নেতা এ প্রসঙ্গে আরও জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভিক্ষুক, বেদে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খাস জমি না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে জমি কিনে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। তিনি আরও জানান, ১৯৯৭ থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬২ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ৬৮ হাজার ৪৮ পরিবারকে ব্যারাকে ও ১ লাখ ৫৩ হাজার পরিবারকে নিজ জমিতে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৩৩৪ পরিবারকে ২ শতাংশ করে জমি বন্দোবস্তসহ এবং ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ১১শ’ পরিবার রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালকের দফতর এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২০ জুন রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারকে (স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে) বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা গৃহ উপহার প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। প্রথম পর্যায়ে ৬৫ হাজার ৪০টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভ‚মিহীন-গৃহহীন পরিবারকে একসঙ্গে বিনামূল্যে জমি ও গৃহ প্রদানের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ও সর্ববৃহৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম বিশাল ও মানবিক এ উদ্যোগ সারা বিশ্বের কাছে দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষমতা প্রমাণের একটি নজিরবিহীন ঘটনাও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন- দেশের একটি মানুষও গৃহহীন বা ভ‚মিহীন থাকবে না। তাঁর এই মহান ব্রতকে সামনে রেখেই মুজিববর্ষে প্রতিটি গৃহহীন-ভ‚মিহীন পরিবারই পাচ্ছেন একক ঘর, আর দুই শতাংশ জমির মালিকানা। তাও আবার বিনামূল্যে। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশের ঠিকানাহীন এসব অসহায় মানুষকে সরকারী খরচে করে দিচ্ছেন একটি করে স্থায়ী ঠিকানা। যা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। উন্নত বিশ্বও তাদের ভ‚মিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলোকে সরকারী খরচে জমিসহ বাড়ি নির্মাণ করার এমন একটি দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি। যা পেরেছে একসাগর রক্তের মাধ্যমে অর্জিত বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন লাখো অসহায় মানুষকে দিচ্ছেন তাঁর সেরা উপহার।
জানা গেছে, এ সকল ভ‚মিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল অসহায় আশ্রয়হীন মানুষকে শুধু পাকা বাড়িই দেয়া হচ্ছে না, সঙ্গে সঙ্গে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের যৌথ নামে জমির মালিকানাসহ সারা জীবনের জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা দেয়া হচ্ছে। জমির মালিকানা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, জীবনযাত্রায় মানের পরিবর্তন এসেছে। হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়নও। ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে মানবিক দিক বিবেচনায় ভ‚মিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল অসহায় মানুষকে সকল কিছুর ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। এটি জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতা ও মহানুভবতার জন্যই সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এ উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায়, ভ‚মিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারগুলো একই সঙ্গে জমি ও গৃহ পেয়ে লাখপতি হয়ে যাচ্ছেন। শুধু বাসস্থানই নয়, পুনর্বাসিত পরিবারের জন্য সুপেয় পানি, বিদ্যুত, রাস্তা, খেলার মাঠ, গাছপালাসহ সকল কিছুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জমিসহ গৃহ প্রদানের পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ঋণ-প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে, যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারে।
‘আশ্রায়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মুজিব শতবর্ষে সারাদেশেই নির্মিত হচ্ছে ভ‚মিহীন ও গৃহহীনদের জন্য এই ‘স্বপ্নের নীড়’। স্বাধীনতার গত ৫০ বছরে যাদের ছিল না কোন স্থায়ী ঠিকানা, একখণ্ড জমি কিংবা নিজস্ব বাড়ি। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্বপ্ন পূরণে সকল ভ‚মিহীন-গৃহহীনদের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দুই শতক জমির ওপর সেমি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে আরও এক লাখ ভুমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল পরিবারকে নিজস্ব ঠিকানা উপহার দেয়ার টার্গেট নিয়ে দ্রæত গতিতে সারাদেশে কাজ চলছে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বিনামূল্যে শুধু স্থায়ী ঠিকানাই নয়, নির্মিত সেমি পাকা বাড়িগুলোও বেশ উন্নতমানের। প্রতিটি ভ‚মিহীন-গৃহহীন পরিবার পাবেন বাড়িসহ দুই শতক জমির মালিকানা। সেমিপাকা প্রতিটি বাড়িতে থাকছে দুইটা বেডরুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি কক্ষের আবাসন। ঘরগুলো যাতে টেকসই হয় সেজন্য ভ‚মিকম্পরোধক ব্যবস্থাও থাকছে। সারাদেশে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের এই মহাযজ্ঞ প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাদেশের গৃহহীন-ভ‚মিহীন অসহায় মানুষকে নিজস্ব স্বপ্নের ঠিকানা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হতে সর্বপ্রথম পাঁচ কোটি টাকা আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ প্রকল্পে অনুদান প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেসরকারী/সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং সম্মানিত জনপ্রতিনিধিগণও গৃহ নির্মাণে অর্থায়ন করছেন। তাছাড়া আরও অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সংস্থা গৃহ নির্মাণের লক্ষ্যে অর্থায়নের অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিবগণ তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা সুবিধাভোগীদের নির্বাচন করেছেন। কারও এক বা দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর আছে কিন্তু তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, তাদের এই ঘর দেয়া হচ্ছে। তবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে যে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে তা আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করা হলেও ঘরের নক্সা একই হবে। তবে দেশের বিভাগীয় সদর ও জেলা শহরে স্থায়ী ভ‚মিহীন বাসিন্দারা এ প্রকল্পে কর্মসূচীর আওতায় সরকারের দেয়া ঘর পাবেন না। ভ‚মি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ভ‚মিহীন পরিবার রয়েছে পৌনে তিন লাখের মতো। এসব ভ‚মিহীন পরিবার এই ঘরগুলো পাবেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শহরে বা শহরের কাছাকাছি সুবিধামতো জায়গায় যেখানে খাসজমি নেই, সেখানে বহুতল ভবন করে ফ্লাটের মাধ্যমে পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হবে। আর শহরের বাইরে যারা আছেন তাদের প্রত্যেককেই বাড়ি করে দেয়া হবে। ভ‚মিহীনদের পরিবারকে দুই শতাংশ জায়গার ওপর দুটি শোবার ঘর, একটি বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি বাথরুম সংবলিত ঘর করে দেয়া হচ্ছে। আর যাদের জায়গা আছে, ঘর নেই তাদেরও একই ধরনের ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। তবে কোন এলাকায় খাসজমি পাওয়া না গেলে সেখানে প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে জেলা প্রশাসক এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন।