ডেস্ক নিউজ
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল পর্যন্ত ‘গণহত্যার কালরাত্রি সমাবেশ ও আলোর মিছিল’ -এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের এই রাতে। কিন্তু সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনও মেলেনি। তাই প্রত্যেককে যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে।
এসময় ৫২তম গণহত্যা দিবস এবং গণহত্যার কালরাতের ঘোষণা পাঠ করেন শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের এদেশীয় সহযোগী জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামের মতো মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন ঘাতক বাহিনী গঠন করে ইসলামের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের ৩০ লাখ নিরীহ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছিল।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে। কীভাবে সবাইকে জানানো যায় সেটা নিয়ে পরামর্শ নেওয়া হবে। যারা এখনও একাত্তরের হত্যাকারীদের দোসর, সেই অপশক্তি বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সেই অপশক্তিকে ভেঙে এগিয়ে যেতে হবে।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দরকার। এটি আমরা চাই। এর জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খোঁজখবর চালিয়ে যেতে হবে। তবে তার আগে গণহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পূর্ণাঙ্গভাবে পালন করতে হবে।
এসময় অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছেলে প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনীর তন্ময়ের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজকর্মী কাজল দেবনাথ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আন্তর্জাতিক গণহত্যা গবেষক কম্বোডিয়া সরকারের উপদেষ্টা ড. হেলেনা জারভিস, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ আরও অনেকে।
রাত সাড়ে ৯টায় মশাল ও মোমবাতি হাতে ‘আলোর মিছিল’ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের গণকবরে উপস্থিত হন সবাই। এ সময় পাকিস্তানিদের হাতে নিহত শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছু সময় নীরবতা প্রদর্শন করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।