নিউজ ডেস্কঃ
রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ‘আল্লাহর দল’ (আল্লাহর সরকার) জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আটকরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম (৩৮), মনিরুজ্জামান মনির (৪০), এসএম হাফিজুর রহমান সাগর (৪৫) ও মো. শফিউল মোযনাবীন তুরিন (২৭)।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোরে দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১ এর লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম আটক চারজনের বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর র্যাব জানায়, জঙ্গিরা সংগঠনটির যাবতীয় আর্থিক মূলধনের একটি বড় অংশ নামে-বেনামে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছে। মূলত দেশে নাশকতা সৃষ্টি ও সরকার উৎখাতের কাজে এগুলো ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
র্যাব অধিনায়ক জানান, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাদের মূল অর্থের উৎস লন্ডন এবং দুবাই থেকে আসে। লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন নেতারা তাদের এই অর্থ পাঠান। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভ্রান্ত ইসলামী চিন্তার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করা। জঙ্গি কার্যক্রমকে জোরদারের জন্য আর্থিক কাঠামো তৈরি করেছেন তারা। লন্ডনের নেতাদের থেকে আসা অর্থের একটি বড় অংশ নামে-বেনামে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে র্যাব।
আটক সিরাজুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি ১৯৯৯ সালে মতিন মেহেদীর কাছে বয়াত গ্রহণের মাধ্যমে এই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন। এরপর ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তারেক রহমানের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় সিরাজুল ইসলামের বাবা অসুস্থ থাকার কারণে তিনি উক্ত হামলায় যোগ দিতে পারেন নি।
সিরাজুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানের তাদের অর্থের বিরাট একটা অংশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান জোগান দিয়ে থাকেন। ভবিষ্যতে তাদের সমগ্র বাংলাদেশে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিলো।
উল্লেখ্য, আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি গ্রেনেড, ১২টি ককটেল, ‘আল্লাহর দল’ সংগঠনের লিফলেট, দাওয়াতপত্র ও আয়-ব্যয়ের হিসাবের একটি টালি খাতা উদ্ধার করা হয়।