ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা আশুলিয়ার কথিত কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদকসেবন, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের অভিযোগ।
গেল ৩০শে আগস্ট আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেকে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যান স্থানীয় দুই কিশোরী। অভিযোগ, এ সময় ১২ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের একজনকে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে। ঘটনার পর হুমকিতে বাধ্য হয়ে এলাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী।
স্থানীয়রা অনেকেই এসব বিষয়ে জানলেও কেউ মুখ খুলছেন না। স্থানীয়রা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় আশুলিয়ার কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে কিশোররা। গড়ে তুলছে গ্যাং কালচার।
পবনারটেকের যেখানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় সেই স্থানটি বেশ নির্জন এলাকা। মানুষজনের যাতায়াত কম থাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আস্তানা ছিল এলাকাটি।
স্থানীয়রা বলছেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মোটরসাইকেলে দাপিয়ে বেড়াতেন এসব এলাকায়। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলেননি। এসব গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে স্থানীয় মাত্র তিন চারজন। বাকিরা বেশিরভাগই কেউ ভাড়া থাকে কেউবা অন্য এলাকার।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী এবং তার বান্ধবী কাজ করতো স্থানীয় একটি চুল ফ্যাক্টরিতে। এই ফ্যাক্টরির পাশেই বাড়ি এক অভিযুক্ত কিশোর আলামিনের। ক্লাস এইটে পড়া আলামিন এমন ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বিশ্বাস করতে পারছেন না তার মা এবং স্বজনরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ শুধু এই এলাকায় নয়, আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় এমন গ্যাং রয়েছে তিন চারটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট হলে এদের দৌড়াত্ব করবে বলে মনে করেন তারা।