আয়োডিনযুক্ত লবণের প্রধান উপাদান পটাশিয়াম আয়োডেটের (আয়োডিন) দাম কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক)। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতিকেজি আয়োডিন দুই হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে লবণ কারখানাকে সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রতিকেজির দাম ছিল তিন হাজার টাকা।
বিসিক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে গত ২০ জানুয়ারি বিসিক মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক [সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ তৈরি কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ (সিআইডিডি) প্রকল্প]
রঞ্জন তরফদার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে আয়োডিনের দাম কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করার বিষয়টি বিসিকের আটটি লবণ জোনে কর্মরত কর্মকর্তা ও লবণ মিলমালিককে জানিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল বিসিকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশ থেকে পটাশিয়াম আয়োডেট আমদানি করে লবণ কারখানার চাহিদা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ করে বিসিক। খাবার লবণ আয়োডিনযুক্তকরণে ব্যবহৃত হয় পটাশিয়াম আয়োডেট। পটাশিয়াম আয়োডেট বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। প্রতিটন লবণ পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত করতে ৭০-৯০ গ্রাম পটাশিয়াম আয়োডেটের প্রয়োজন হয়। প্রতিবছর লবণে আয়োডিনযুক্তকরণে কমবেশি প্রায় ৩০ টন পটাশিয়াম আয়োডেট ব্যবহৃত হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পটাশিয়াম আয়োডেটের দাম প্রতিকেজি চার হাজার ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে লবণ কারখানাসমূহকে সহায়তার অংশ হিসেবে পটাশিয়াম আয়োডেটের দাম আরেক দফা কমিয়ে প্রতিকেজি দুই হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে লবণ কারখানাসমূহকে সরবরাহের নির্দেশ প্রদান করেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান।
দেশের লবণশিল্পকে বাঁচাতে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে এটি একটি অন্যতম পদক্ষেপ। ১০০ শতাংশ মানুষকে পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে বিসিক। পটাশিয়াম আয়োডেটের মূল্যহ্রাস লবণশিল্পকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। লবণ কারখানা মালিকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে পরিমিত মাত্রায় (উৎপাদনকালে ৩০-৫০পিপিএম/ প্রতিকেজিতে ৩০-৫০ মিলিগ্রাম) লবণে আয়োডিন মিশ্রণ নিশ্চিত করবে বলে আশা করছে বিসিক।