ডেস্ক নিউজ
চলমান ইউক্রেন ইস্যু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। ঢাকা বিশ্বাস করে যে শান্তি, প্রগতি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চলমান ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।
অন্যদিকে, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিদের ইউক্রেন ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ইউক্রেনে সকল প্রকার ভ্রমণ পরিহার করতেও বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের নজরে রয়েছে। বাংলাদেশ চায় যে উভয় পক্ষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি প্রমশনে কাজ করবে।
এর আগে, গত এক ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে উভয়পক্ষই আমাদের বন্ধু, সবার সঙ্গেই আমাদের ভালো সম্পর্ক। আমরা সবার সাথেই আছি। বাংলাদেশ চায় যে সকলপক্ষই সংযত আচরণ করবে, যাতে উত্তেজনা কমে যায়।
ইউক্রেনে বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায় পোল্যান্ডের ওয়ার্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ইউক্রেন দেখভাল করা হয়। পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে বসবাসরত সম্মানিত প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। অন্য কোন দেশে যেতে না পারলে তারা বাংলাদেশে যেতে পারেন। ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরামর্শ হালনাগাদ করা হবে। একই সাথে সকল বাংলাদেশিকে অত্যাবশ্যকীয় না হলে ইউক্রেনে সকল প্রকার ভ্রমণ পরিহার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। ইউক্রেনে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে তাদের অবস্থানের তথ্য দূতাবাসকে অবহিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো, যাতে করে জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।’
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, চলমান ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা বাংলাদেশের কাছে চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এই ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে। অন্যদিকে, এই ইস্যুতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলে বাংলাদেশ জানিয়েছে।