নিউজ ডেস্ক
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সবথেকে উঁচু ও সম্মানীয় পদে রয়েছেন। উনার আগেও বহুজন এই ধরণের পদে থেকেছেন। সেই সমস্থ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সাথে তাদের পরিবারও সুযোগ সুবিধা উঠিয়েছে। এখনো দেশে অনেক পরিবার আছে যারা রাজনীতিকে পরিবারের ব্যাবসা করে নিয়েছে। পাঠকদের কাছে নতুন করে সেই পরিবারগুলোর নাম আর নিচ্ছি না। তবে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিবার কোনো সুযোগ সুবিধা নেওয়া তো দূর, দু বেলা খাওয়ার জন্যেও সংঘর্ষ করে।শুনতে একটু একটু অবাক লাগলেও এটাই সত্য। আমি অমুক নেতার মামাতো ভাই, আমি অমুক নেতার ভাইপো, এমন মন্তব্য ভারতের অনেক জায়গায় শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাই অরবিন্দ মোদীর মুখ থেকে এমন শব্দ কখনোই শোনা যায় না। ইনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর চাচাতো ভাই। ইনি সকাল হলেই তারা ঠেলা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং ভাদনগরের আসেপাশের নানা বাড়ি থেকে লোহা, প্লাস্টিক, কাজগ ইত্যাদি জমা করেন। পরে সেগুলো বিক্রি করে দিয়ে আসেন। এইভাবে উনি দিনে ১০০-৩০০ টাকা অবধি অর্জন করেন। ইনার পত্নী রিজনী বেন যিনি দামি কাপড়, গয়না ইত্যাদি শুধুমাত্র অন্য লোকজনের কাছেই দেখেছেন। দামি কিছু পরার মতো সৌভাগ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভাইয়ের পত্নীর হয়নি। ইনাদের কোনো ছেলে মেয়ে নেই, তাই টুকিটাকি অর্জন করেই সংসার চলে যায় দুজনের।
অবশ্য মনে করিয়ে দি, এখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাইয়ের কথা বলা হয়েছে। যে প্রধানমন্ত্রীকে রাহুল গান্ধী, কেজরিওয়ালের মতো নেতারা চোর বলে গালাগালি দেয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর আরেক ভাই ভরতভাই মোদীও এইভাবে কঠিন জীবনযাপন করেন। ভরতভাই মোদী ভাদদরা থেকে ৮০ কিমি দূরে পালনপুরের কাছে এক স্থানে পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। ইনি ১০ দিন পর পর বাড়ি আসেন এবং মাসিক ৬০০০ টাকা আয় করেন। উনার পত্নী একটা ছোটো দোকান খুলে সেখানে জিনিসপত্র বিক্রি করে মাসে ৩০০০ টাকা আয় করেন। প্রধানমন্ত্রীর আরেক ভাই চন্দ্রকান্ত মোদী গোসালায় কাজ করেন।
ভারতবর্ষে যতজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই নিজের পরিবারকে কমপক্ষে থাকার সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন। একমাত্র নরেন্দ্র মোদী এমন একজন যার কাছে দেশের ১৩৫ কোটি মানুষ তার পরিবার। দেশের মিডিয়াও এই সমস্থ তথ্য সম্পর্কে অবগত কিন্তু মিডিয়া কখনোই প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের দিকে তাদের ক্যামেরা ঘোরাই না। এর কারণ মিডিয়া জানে যে দেশের মানুষ সত্য জানলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভগবানের মতো মাথায় তুলে নেবে। তখন রাজনীতি একতরফা হয়ে যাবে এবং মিডিয়ায় ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যাবে।