ডেস্ক নিউজ
দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়ভিত্তিক দায়িত্ব পালনে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকন্ডলীর যৌথসভায় যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামল হোসেনসহ সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, প্রত্যেকে যার যার বিষয়ভিত্তিক দায়িত্বটা পালন করা দরকার। নির্বাচনী ইশতেহারে যে ঘোষণাগুলো দিয়েছি, পাশাপাশি আমাদের যে পলিসি আছে, সেগুলো নিয়ে বসা, আলোচনা করা। আমরা প্রতিশ্রুতি কতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি সেই বিষয়ে আলোচনা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকার কিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রথম যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল, সেটি ছিল ২০১০ থেকে ২০২০- এই দশ বছর মেয়াদী। আর নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশকে আমরা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা আমাদের পার্টির প্রত্যেক নেতার দেখা উচিত এবং এখানে বিষয়ভিত্তিক যেটা আছে সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যরা দেখে নিন কীভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
করোনাভাইরাসের মহামারীতে মানুষের কল্যাণে কাজ করায় সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সরকার প্রধানব বলেন, এখন সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। করোনার কারণে অনেক জায়গায় সম্মেলন হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। এখন সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ করার ব্যাবস্থা নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে। মহামারীর সঙ্কটে গত অর্থবছর দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে গেলেও দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বারবার আমাদের ভোট দিয়েছে। আমরা বংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আজকে আমাদের রিজার্ভ ৩৯.৪০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮.২ ভাগ টার্গেট করেছিলাম, এপ্রিল পর্যনন্তআমরা ৭.৮ অর্জন করেছিলাম, কিন্তু করোনার কারণে কমে গেছে। এরপরও অর্থনৈতিকভাবে আমরা একটা ভালো অবস্থানে আছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। একশ অর্থনেতিক অঞ্চল করেছি। সেখানে আমরা বিনিয়োগ আনতে চাই। আমরা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। কাজেই আমরা অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। সেটা যাতে যথাযথভাবে কার্যকর হয় এবং সারাদেশে যে উন্নয়নের কার্যক্রম নিয়েছি, সেটা যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, সেটা আমাদের দেখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণের দৃঢ় সংকল্পের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীন মানুষকে ভূমি ও গৃহ আমরা করে দেব। কোনো এলাকায় এমন কেউ থাকলে তাদের খুঁজে বের করতে হবে, যাদের ভিটা আছে ঘর করার টাকা নাই, তাদেরও আমরা সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পাবলিক লাইব্রেরি, শহীদ মিনার, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রশিক্ষণ ভবনসহ বেশ কিছছু প্রতিষ্ঠানের আধুনিয়কায়নের পরিকল্পনা নেয়ার কথাও বলেন তিনি। এ সময় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের ‘অকৃত্রিম বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সীমিত আকারে জন্মদিন পালনের অনুমতি চান। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, জন্মদিন পালনের দরকার নেই। আমি জন্মদিন পালন করি না।