নিউজ ডেস্ক :
ইসরায়েলে চলমান দাবানলের মধ্যে নতুন করে দাবানলের উদ্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেরুজালেমে এ দাবানলের ঘটনা ঘটে বলে খবর দিয়েছে দেশটির ইনেটনিউজ।
খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার জেরুজালেমে নতুন করে দাবানলের উদ্ভব হয়েছে। অগ্নিনির্বাপন দলের পাঁচটি ইউনিট ও একটি বিমান আগুন নেভানোর জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, যাতে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরে আগুন ছড়াতে না পারে।
খবরে বলা হয়েছে, নতুন দাবানলে ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলে বেশ কিছু গাড়ি পুড়ে গেছে।
এর কয়েক দিন আগে উত্তর ইসরায়েলে দাবানলের ঘটনা ঘটে, যেখানে অগ্নিনির্বাপন কর্মীরা আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ওই আগুন নেভাতে এর আগে বিদেশি সহায়তাও চেয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
ইনেটনিউজ বলছে, দুটি ভিন্ন লোকেশনে দাবানলের উদ্ভব হওয়ায় এর পেছনে তথা কেউ অগ্নিসংযোগ করেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর আগে খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের দাবানলের আগুন নেভাতে কাজ করছেন ফিলিস্তিনিরাও। আর এ জন্য নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের ধন্যবাদ দেন।
ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আমেরিকার নেই!
জেরুজালেম আল-কুদস ফিলিস্তিনি জাতির সম্পদ। কাজেই এ ব্যাপারে আমেরিকা বা ইহুদিবাদী ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এ কথা বলেছেন। বুধবার নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ জারিফ বলেন, আল-কুদস (জেরুজালেম) আমেরিকার কোনো বিষয় নয় যে সে দিয়ে দেবে এবং ইসরায়েলেরও কোনো বিষয় নয় যে, সে নিয়ে নেবে।
অথবা এই নগরী কোনো পণ্য নয় যে কেউ তা বেচাকেনা করবে। এটি ফিলিস্তিনিদের উত্তরাধিকার এবং তাদেরই থাকবে। বুধবার সন্ধ্যায় তেহরানে নিযুক্ত মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, আল-কুদস হচ্ছে মুসলমানদের প্রথম কেবলা এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মুসলিম বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর চেয়ে কষ্টদায়ক আর কিছু হতে পারে না যে, আমেরিকা ও ইসরায়েল মিলে আল-কুদসের ভবিষ্যত নির্ধারণের যে লজ্জাজনক পরিকল্পনা তৈরি করেছে তার প্রতি সমর্থন দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যেরই কিছু আরব দেশ।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার চিরতরে নির্মূল করে দেয়ার লক্ষ্যে আমেরিকা কথিত ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ নামক পরিকল্পনা তৈরি করেছে। সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব দেশ এই পরিকল্পনার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। এই পরিকল্পনায় আল-কুদসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলা হয়েছে এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মাতৃভূমিতে ফিরে আসার অধিকার চিরতরে খর্ব করা হয়েছে।
এই ন্যক্কারজনক পরিকল্পনায় আরো বলা হয়েছে, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার যতটুকু অংশে এখন ফিলিস্তিনিরা ঘেরাও হয়ে রয়েছে ততটুকু অংশ নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে।