ডেস্ক নিউজ
ইসি গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে সার্চ কমিটি আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সপ্তম বারের মত বৈঠকে বসতে চলেছে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার শাখার সচিব মো. সামসুল আরেফিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার সার্চ কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকের পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদা কমিটির তরফ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। তবে আগামীকালের বৈঠকে সার্চ কমিটিতে আসা নামের তালিকা যাচাই বাছাই করে আরো সংক্ষিপ্ত করা হতে পারে হবে বলে জানা গেছে। এমনকি এ বৈঠকে চূড়ান্ত ১০ জনের তালিকাও প্রস্তুত করে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করা হতে পারে বলেও সার্চ কমিটি সূত্র জানিয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী থেকে কমিশনার শুন্য হয়ে আছে ইসি।
এর আগে সার্চ কমিটি নিজেদের মধ্যে দু ‘বার এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে চার বার বৈঠকে বসে। গত শনিবার, রবিবার ও মঙ্গলবার মোট তিন দিনে চার দফায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মোট ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এর মধ্যে তারা দু’বার নিজেদের মধ্যেও বৈঠক করে।
পরে গত সোমবার রাতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি সংগঠন, ব্যক্তি পর্যায় থেকে প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। সর্বশেষ গত বুধবার বিকেলে সার্চ বৈঠকে বসে ৩২২ জনের নাম থেকে যাচাই বাছাই করে ৫০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে বলে কমিটি সূত্রে জান যায়। গত বুধবার সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, আইনে বর্ণিত যোগ্যতা অনুসরণ করে ইসি গঠনে অনুসন্ধান চলছে। তালিকা সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।
প্রতিটি বৈঠকে সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত থাকছেন সার্চ কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মুখ্য সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ অন্যরা।
সর্বশেষ কে এম নূরুল হুদার ইসির মেয়াদ গত সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার পর এবারই আইন অনুযায়ী প্রথম ইসি গঠিত হচ্ছে। এ জন্য গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এরপর আইনানুযায়ী ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে নাম সুপারিশের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ কার্যদিবস। এর মধ্যে ১০ জনের নাম বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।