ডেস্ক নিউজ
ঈদের আগে শেয়ারবাজারে চাঙাভাব স্বস্তি এনে দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মনে। এক মাসের বেশি সময় ধরে টানা উত্থানে রয়েছে দেশের দুই শেয়ারবাজার। লকডাউনের মধ্যেও লেনদেন ও সূচক ঊর্ধ্বমুখী। যা গত কয়েক বছরেও দেখা যায়নি। প্রতিদিনের লেনদেনে তুলনামূলক বাজার সূচক বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারবাজার মূলধন বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা কাটিয়ে বাজার স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। গত মার্চের শুরুতে বাজারে যে অস্থিরতা দেখা গেছে লকডাউন দেওয়ার পর দেখা গেছে উল্টো।
জানা গেছে, কভিড প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে সরকার চলাচল নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে পারে এমন শঙ্কায় শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে মার্চের শেষ দিকে। লকডাউন ঘোষণার পর বাজার তুলনামূলক ঘুরে দাঁড়ায়। গত এক মাসে ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ৬০০ পয়েন্টের বেশি। গত ৮ এপ্রিল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্ট। যা গতকাল পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৪৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ এই সময় সূচক বেড়েছে প্রায় ৬০০ পয়েন্ট। দৈনিক লেনদেনের গড়হারও দেখা গেছে, মার্চ মাসে ছিল ৪০০ কোটি টাকার নিচে। যা গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে হয়েছে ৮০০ কোটি টাকার বেশি। ডিএসইতে এই সময় এক দিনে ১৪০০ কোটি টাকাও লেনদেন ছাড়িয়েছে। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাজার মূলধন এই এক মাসে বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এপ্রিলের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা। যা সর্বশেষ রবিবার পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
এই সপ্তাহে প্রথম দিনের লেনদেনেও ছিল উত্থান। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে যেসব খাতের কোম্পানির শেয়ার দর কমার পরিমাণ বেশি সেসব খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরও বেড়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেক্সটাইল উল্লেখযোগ্য। তবে এই সময় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ওষুধ খাতের কোম্পানির শেয়ার দর। অনেক ব্যাংকের শেয়ার দর গত কয়েক বছর ধরে ফেসভ্যালু ১০ টাকার কাছাকাছি ছিল। কয়েকটি ব্যাংকের শেয়ার দর ১০ টাকার নিচে ছিল। তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে কয়েকটি ফেসভ্যালুর নিচে থাকলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর ১৫ টাকার ওপরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা। একই অবস্থা আর্থিক খাত ও বিমা কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে। এবার সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এভাবে বেশির ভাগ খাতের কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এতে বেড়েছে বাজার মূলধনের পরিমাণ।