ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার সারা দেশে পালন করা হচ্ছে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুদিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে সবচেয়ে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করেছে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া।
আরবের মরুর বুকে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। বিশ্বে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে ৬৩ বছর বয়সে একইদিন তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তাই ধর্মীয়ভাবে দিবসটি মুসলিম উম্মাহর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালিতে প্রিয় নবীর প্রেমে মত্ত হয়ে হাজারো মুসল্লি অংশ নেন। তারা সারা বিশ্বে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
র্যালিটি রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন থেকে বের হয়ে শাহবাগ মোড় প্রদক্ষিণ করে। এ সময় সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্ম ও বিশ্বনবীকে নিয়ে কটূক্তি বন্ধের দাবি জানান মুসল্লিরা।
মুসল্লিরা আশা প্রকাশ করেন, ফ্রান্সের সরকার তাদের ভুল বুঝতে পারবে। মুসলমানদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ ও ক্ষোভকে তাঁরা প্রশমিত করবে এবং সারা পৃথিবীর মানুষকে সম্প্রীতির বন্ধনে তারা ঐক্যবদ্ধ করবে।
বাংলাদেশে দিনটি সরকারি ছুটির দিন এবং দেশের মুসলমানরা এ দিন বিশেষ ইবাদত করেন। দিনটি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা, কোরআন খতমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, মসজিদ ও মাদ্রাসা।
গত বুধবার এক তথ্য বিবরণীতে পিআইডি জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাতীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন শুরু করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন উপলক্ষে ২৯ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।