ডেস্ক নিউজ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই লক্ষ্য অর্জনে প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছি। ইতিমধ্যেই আমরা ২০২০ থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।
২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর যখন দেশের দায়ভার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ন্যস্ত হয়। দেশ তখন বিদেশী ঋণে জরাজীর্ণ হয়ে ছিলো। দেশকে দূর্দশাপূর্ণ অবস্থা থেকে বের করতে এবং একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে “ভিশন-২০২১” ঘোষণা করেন তিনি। আশা প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তিতে পরিপূর্ণ একটি “ডিজিটাল বাংলাদেশ”। ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় প্রায় শতভাগই এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
২০২১ সালের আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আগামী বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এ বছরকে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। এবং এবছরই “ভিশন-২০২১” এ শেষ বছর।
এর আগেই সরকার আগাম পরিকল্পনা করছে দেশের জন্য। নিজ কার্যালয়ে (পিএমও) দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১-২০৪১ এর ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের পরিকল্পনার কথা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ।
তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের পর দেশের দ্রুত উন্নয়ন সাধনে বেশকিছু তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশে প্রথমবারের মতো ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনারও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ‘একটি স্বপ্নের দলিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, ‘২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ সাল থেকে শুরু করে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।’
সিনিয়র সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন।