ডেস্ক নিউজ
গত বছর জাতিসংঘ থেকে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবার দ্রুততম উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) আইএমএফ এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা বলছেন, এসব অর্জনকে সুসংহত করতে ব্যাংকসহ আর্থিক খাতকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। আর অর্থনীতিবিদের পরামর্শ, নতুন নতুন রপ্তানি পণ্য ও বাজার ধরে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উঠে আসা বাংলাদেশকে, গেল বছর মার্চে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। আর এবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ-এর প্রতিবেদনে ৭.৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে দ্রুততম উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ২য় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। তালিকার ৩য় স্থানে আছে ভারত আর ৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে রুয়ান্ডা।
মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচকে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের এসব উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার জন্য নতুন বিনিয়োগ টানতে কাজ করার আহ্বান ব্যবসায়ীদের।
অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি মনোযোগ দিতে হবে রপ্তানি বাজারে অংশগ্রহণ বাড়ানোর দিকে।
২০২১ সালে জাতিসংঘের করা মধ্যবর্তী পর্যালোচনায় টিকে গেলে, ২০২৪ সালে হবে আরও একটি মূল্যায়ন; সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঐ বছরই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পাবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মর্যাদাপূর্ণ ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেলো বাংলাদেশ
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক “ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার-২০১৯” এর ১টি উইনার এবং ৮টি চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রাখায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এটি আইসিটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার এবং ই-গভর্ন্যান্স ইন্টারঅপারেবিলিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রকল্প এই উইনার পুরস্কার পায়। ডব্লিউএসআইস অ্যাকশন লাইন ক্যাটাগরি-৬ এর এনাব্লিং এনভায়রনমেন্ট ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কারটি প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ডব্লিউএসআইএস এর অ্যাওয়ার অনুষ্ঠানে ডব্লিউএসআইএস এর কো-চেয়ারম্যান, আইটিইউ এর মহাসচিব হাউলিন ঝাউ এর কাছ থেকে উইনার পুরস্কার গ্রহণ করেন এবারের ডব্লিউএসআইএস ফোরামের চেয়ারম্যান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ ডব্লিউএসআইএস-এ যোগদানকারী বাংলাদেশের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।