ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ নিজ নিজ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।’
পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
শনিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে রাজাপাকসে বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ নিজ নিজ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।’
এ সময় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে নানা ইস্যুতে একই মত পোষণ করে।
‘বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা তথ্য-প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা পর্যটন ও সেবা খাতে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে। দু’দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এসব খাতের উন্নয়নে আরও বেশি সুযোগ তৈরি হবে।’
দু’দেশের বিনিয়োগকারীদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৩০ হাজার কর্মী বিভিন্ন উৎপাদনশীল ও সেবাখাতে কাজ করে। এর মাধ্যমে তারা দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে অবদান রাখছে।
‘বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার অনেক শিক্ষার্থী মেডিক্যাল ও প্রকৌশল খাতে লেখাপড়া করে। বাংলাদেশ আরও বেশি শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থীকে শিক্ষার সুযোগ দিতে প্রস্তুত আছে।’
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ ও শ্রীংলঙ্কার সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো কাজে লাগাবার যৌথ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাজাপাকসে বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে পরিদর্শন বইতে সই করেন।