নাটোর প্রতিনিধি:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। আর এই উন্নয়নের ধারায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে প্রযুক্তি। প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার সিংড়া উপজেলার শেরকোল বাজার এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে শেরকোল পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের প্রশস্তকরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরা গণভবন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশে ড্রেন কাম ফুটপাথ এবং মাঝে ডিভাইডারসহ চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উত্তরা গণভবন থেকে শেরকোল পর্যন্ত ৩৪ ফুট প্রশস্তকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলেও উন্নয়নের সূচকগুলোতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারনে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে, বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে বিদ্যুৎ স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। অন্ধকার গ্রামগুলো জেগে উঠেছে। আর মহাসড়কগুলোর প্রশস্ততা বৃদ্ধিসহ পর্যান্ত সড়ক নির্মাণের ফলে মানুষের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চার হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ সুদৃঢ় হয়েছে।
পলক আরো বলেন, শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনই নয়, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ফলে মানুষের জীবন যাপন পদ্ধতি সহজ ও সুন্দর হয়েছে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে থেমে যায়নি দেশের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম। তারা অনলাইনে পাঠ গ্রহন করছে, পরীক্ষাও দিচ্ছে। এপ্রিল মাস থেকে বিচার ব্যবস্থায় ভার্চূয়াল আদালতের কার্যক্রমের মাধ্যমে লক্ষাধিক মামলার শুনানী হয়েছে, ৫০ হাজার ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে এবং ২০ হাজার বন্দি মুক্ত হয়েছেন। এখন টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে অসুস্থ্য ব্যক্তিরা সহজেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে পারছেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান ও সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেল।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম জানান, শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে উত্তরা গণভবন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পর্যন্ত পৌরসভার অন্তর্গত সড়ক উভয় পাশে ড্রেন কাম ফুটপাত এবং মাঝে ডিভাইডারসহ চার লেনে উন্নীতকরণ করা হবে। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের খেজুরতলা পর্যন্ত ৩৪ ফুট প্রশস্তকরণ কার্যক্রমের নির্মাণ ব্যয় ৮২ কোটি টাকা। ১৮ মাস সময়সীমার একই সময়ে খেজুরতলা থেকে সিংড়া উপজেলার শেরকোল পর্যন্ত মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কার্যক্রমে আরো ব্যয় হচ্ছে ৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ব্যয় প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকা।