ডেস্ক নিউজ
উপকূলীয় এলাকার ১০ জেলার মানুষের জন্য নিরাপদ বৃষ্টির পানি সরবরাহ করতে প্রকল্প নিয়েছে সরকার। ৯৬১ কোটি ৭৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার ‘উপকূলীয় জেলাসমূহের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এটি পাস হলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে উপকূলীয় ১০টি জেলার ২২২টি ইউনিয়নের মানুষ এর সুফল পাবে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে দুই লাখ ছয় হাজার ৮৭২টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ইউনিট নির্মাণ। এ ছাড়া প্রকল্পভুক্ত এলাকায় সেফলি ম্যানেজড পানি সরবরাহের আওতা ২০৩০ সাল নাগাদ ৬০.১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি আজ একনেকের সভায় উঠছে।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের মূল শিকার দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো। এর প্রভাবে সমুদ্রের পানিস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শুধু ভূ-উপরিস্থিত নয়, বরং ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরেও লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কোনো এলাকা এমন রয়েছে, যেখানে কোনো পানযোগ্য পানির উৎস আর পাওয়া যায়নি; এমনকি নদী-খাল-বিল-পুকুরের পানি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে, যা শুষ্ক মৌসুমে আরো প্রকট আকার ধারণ করে। এসব উৎসর পানি পান করা ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করা যায় না। এই লবণাক্ত পানি পান করে উচ্চ রক্তচাপ, নারীদের গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা, কিডনি রোগ ও চর্মরোগের মতো নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে উপকূলীয় এলাকার মানুষ।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয় ১০টি জেলার ৪৪টি উপজেলার ২২২টি ইউনিয়নে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে মানুষকে লবণাক্ততা ও আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও কক্সবাজারে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।