পরীক্ষা ছাড়াই এবার (২০২০ সাল) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নে পাস করেছেন সবাই। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী, যা মোট পরীক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে জিপিএ-৫ বেড়েছে তিন গুণের বেশি। নয়টি সাধারণসহ সব বোর্ডের সমন্বয়ে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার এসএসসি ও জেএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়।
এর আগে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রাজধানীর গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষাসচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সামনে থাকা বাটন চেপে এ ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাতে ২০২০ সালের এসএইচসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানেরা।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। পরে সিদ্ধান্ত হয় এসএসসি ও জেএসসির পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। অবশেষে আজ ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হলো।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত বছরের এপ্রিলে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এখন পরীক্ষা ছাড়াই ফল মূল্যায়ন করায় সবাই পাস করেছেন। তবে সবার আগ্রহ, কে কত জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পান, তা নিয়ে।
www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ফল দেখা যাবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানা যাবে।