নিউজ ডেস্ক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমাদের যা কিছু হারিয়ে যায়, যা কিছু দুর্ঘটনা ঘটে আমরা নিকটবর্তী থানায় জিডি করার জন্য যাই। সেজন্য আমাদের যেতে আসতে সময় লাগে। সেজন্য আমরা অনলাইন জিডির ব্যবস্থা করেছি। এজন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি, এক সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি। এটা (অনলাইন জিডি) কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, তিনি খুব শিগগিরই আমাদের জানাবেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ।
তিনি বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে সীমিত আকারে শুধু ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (হারিয়ে যাওয়া ও কোনো কিছু পাওয়া)’ নিয়ে অনলাইন জিডির যাত্রা শুরু করব। এর ধারাবাহিকতায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ মেট্রোপলিটনে প্রথমে অনলাইন জিডি শুরু করব। তারপর সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত হবে। আমরা ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডেই সীমাবদ্ধ থাকব না। আমরা পুলিশ ভেরিফিকেশন থেকে শুরু করে সবকিছু অনলাইনে করতে পারি, সেটাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি থানা যাতে অনলাইনে চলে আসে, আমরা সেই ব্যবস্থাটা করছি। আমরা খুব শিগগিরই সেই জায়গাটিতে যেতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইলের কারাগারে ‘স্বজন’ নামে একটা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে টেলিফোনে কারাবন্দিরা তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। এতে আমরা দেখেছি, টাঙ্গাইলে প্রায় ৮০ শতাংশ দর্শনার্থী কমে গিয়েছে। এই সুফল পাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সমস্ত কারাগারগুলোতে শিগগিরই এই সুবিধা চালু হতে যাচ্ছে।
সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের আইজিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।