নিউজ ডেস্ক:
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। তারই অংশ হিসেবে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গ্রামীণ জনপদের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, সুইসগেট, পুকুর, খাল, নদী খনন, বাঁধ নির্মাণ থেকে শুরু করে উপজেলা, পৌরসভা, জেলা শহরের নানা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্ত্রণালয়ের লোকবলসহ কিছু সমস্যার সমাধান হলেই এলজিইডির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে দেশবাসীর কাছে রোলমডেল হিসেবে তুলে ধরা সম্ভব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রামীণ সমাজের উন্নয়ন ঘটছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রামে শহরের নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার অংশ হিসেবে এলজিইডি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে।
বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর নগর কেন্দ্রিক উন্নয়নের ধারণা থেকে বেরিয়ে গ্রামীণ উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প শেষ হচ্ছে। যার সুফল পাচ্ছেন লাখ লাখ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী। এবার ক্ষমতায় গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় শহরের থেকে গ্রামে বেশি উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মেজবাহ উদ্দিন জানান, এলজিইডির আগের ও বর্তমান কার্যক্রমে আকাশ-পাতাল ব্যবধান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে। কাজের গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও এলজিইডি পৃথকভাবে মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, লোকবল বৃদ্ধির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি।
অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আর তা হলেই এলজিইডির সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে দেশবাসীর কাছে রোলমডেল হিসেবে তুলে ধরতে পারব।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত আগ্রহে এলজিইডি নদীগুলোর নাব্য এবং নৌ-চলাচল সুবিধা অক্ষুন্ন রেখে দেশে ছোট সেতু কালভার্ট নির্মাণের পাশাপাশি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করছে। ২০০৯ সালের পরে নির্মিত এসব সেতু দেশের দুর্গম চর এবং অনগ্রসর অঞ্চলকে সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
চলমান সরকারের সারাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে এলজিইডি গ্রামীণ জনপদের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, সুইসগেট, পুকুর, খাল, নদী খনন থেকে শুরু করে উপজেলা, পৌরসভা, জেলা শহর এমনকি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় এলজিইডি ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গৃহীত প্রকল্পের সংখ্যা ১০৭টি। যার ডিডিপি বরাদ্দের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর অনুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা ১৬৯টি। অর্থ বরাদ্দ ছিল ৯২ হাজার ৪৫৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৫১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।