করেনা ভাইরাসে সারা দেশ্ব যখন কাঁপছে , আতংকে রয়েছে সকলেই , সেই সময় নাটোরবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের দৌড় গড়ায় খাদ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন সহযোগীতা নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। আর এভাবেই প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ পালন করে সাধারন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে নাটোরের জনগনের বন্ধু নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলেিগর সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে প্রতিদিন ত্রাণ নিয়ে অসহায় নিরন্ন মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন শিমুল।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী তরুণ এই নেতা ত্রাণ তৎপরতায় ব্যয় করছেন দুই কোটি টাকার অধিক। দলীয় সুত্রে জানা যায়, নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন নাটোর-২ এর দুইটি পৌরসভা এবং মোট ১২টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের কাছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংসদ সদস্য শিমুল খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
করোনাকালের শুরু থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। বিতরণ অব্যাহত থাকা খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মোট ১৫০ টন চাল, ৩০ টন মশুরের ডাল, ৬০ টন আলু এবং ৩০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল। ৩০ হাজার ব্যক্তির জন্যে জনপ্রতি বরাদ্দ পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু এবং এক লিটার করে তেল। স্বাস্থ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩০ হাজার ব্যক্তির জন্যে ৩০ হাজার সাবান, ২০ হাজার ব্যক্তির জন্যে ৫০ হাজার মাস্ক এবং পাঁচশ’ ব্যক্তির জন্যে পাঁচশতটি পিপিই। এছাড়া দুধ, জুস, নুডলস্, ওয়েফার, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদি সহযোগে শিশু খাদ্যের এক হাজার প্যাকেট নাটোর পৌরসভার এক হাজার দরিদ্র মায়েদের হাতে তাদের শিশু সন্তানের জন্যে প্রদান করা হয়। এসব খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রীর মোট ক্রয়মূল্য এক কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ১২টি ইউনিয়ন এবং নলডাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় একাধিকবার গমন করে ইতোমধ্যে ২৬ হাজার জনগোষ্ঠির মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কাজ শেষ করেছেন সংসদ সদস্য শিমুল।
নাটোর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। এছাড়াও নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ষ্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের দুই হাজার একশ শ্রমিকের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন শিমুল। জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক আকরামুল ইসলাম জানান, দলের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীরা অসহায় মানুষের তালিকা প্রণয়ন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংসদ সদস্য শিমুলকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। সংসদ সদস্য শিমুলের ত্রাণ তৎপরতার মূল্যায়ন করে নাটোরের দিঘাপতিয়া অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ মানুষের কল্যাণে কাজ করা। এক্ষেত্রে অনেক জনপ্রতিনিধি সংক্রমণ ঝুঁকিতে এলাকায় অনুপস্থিত থাকলেও ব্যতিক্রম হচ্ছেন সংসদ সদস্য শিমুল। নিজ অর্থায়নে নিজ হাতে মানুষের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার প্রশান্তি তাঁর পথচলাকে আরো বেগবান করবে।
নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণের কারনে সকল কার্যক্রম যখন স্থবির হয়ে পড়েছে। আমাদের চলাচলও সীমিত হয়ে পড়েছে। এই সময়ে একক অর্থায়নে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মানুষের কাছে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন সংসদ সদস্য শিমুল। দূর্যোগে মানুষের দূর্দশা লাঘবে তাঁর তারুণ্যভরা এই প্রচেস্টা অনন্য। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন-দেশে কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রত্যাশা পূরণে তিনি তাঁর সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করে যেতে চায়। হাজারো মানুষের মাঝে প্রতিদিন অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও দিনশেষে অসহায় মানুষের মুখগুলো মনে পড়লে প্রশান্তিতে ভরে যায় মন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সহযোগীতার বাহিরেও তাঁর বন্ধু সমাজ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা নাটোরবাসীর জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন শেখ হাসিনা সরকার যতদিন আছে ততদিন বাংলার মানুষের কোন খাবারের অভাব হবেনা। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন শিমুলের কাজে তিনি সন্তুষ্ট তাই শিমুলের জন্য যত ত্রাণ প্রয়োজন তাকে সব দেওয়া হবে। শিমুল এই দূর্যোগ মুহুত্বে মানুষের পাশে থেকে দলের ভাবমুর্তি উজ্জল করেছে। করোনা সমেয় যে কয়েকজন এমপি কাজ করে দলের সম্মান রক্ষা করেছে তারমধ্যে শিমুল এক দৃষ্টান্ত।