ডেস্ক নিউজ
করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ-সহায়তা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ সহায়তা করোনাকালে অন্য যেকোনো উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া সহায়তার চেয়ে বেশি। এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
ম্যানিলাভিত্তিক এই ঋণদাতা সংস্থার সহায়তার পরিমাণ বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা) ১৬ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। মারণভাইরাসের ধাক্কা সামলাতে বাংলাদেশকে প্রয়োজনে আরো সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনজিন চেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং শিনজিন চেন একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী ও এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কঠিন এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো সহায়তার প্রয়োজন হলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সভায় অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা ১৫ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে অবহিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। সংস্থাটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার দিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে কখনোই এত কম সময়ে এত বেশি সহায়তা দেয়নি সংস্থাটি। এ ঋণ-সহায়তার মধ্যে অর্থনীতির ক্ষতি কাটাতে বাজেট সহায়তা হিসেবে এডিবি দিয়েছে ৫০ কোটি ডলার। ২৫ কোটি ডলার দিয়েছে নীতি-সহায়তা হিসেবে। ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিটেন্স’শীর্ষক প্রকল্পে স্বাস্থ্য খাতের জন্য দিয়েছে ১০ কোটি ডলার।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ৯৪ কোটি ডলার দিয়েছে এডিবি। অনুদান হিসেবে দিয়েছে ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এর বাইরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষতি কাটাতে এডিবি ৫ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারির সংকট কাটাতে ঋণ-সহায়তার জন্য অর্থমন্ত্রী এডিবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বৈঠকে অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশসহ অর্থ মন্ত্রণালয় ও এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।