করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক আঘাত মোকাবেলায় সক্ষমতাসহ বিভিন্ন সূচকের ওপর ভিত্তি করে গত কয়েক মাস ধরে ‘করোনা সহনশীল’ দেশের আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। ডিসেম্বরে এই তালিকার ২০ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
এই র্যাঙ্কিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরবের মতো দেশগুলোর চেয়েও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের ধারে কাছে নেই দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশই। ভারত-পাকিস্তানের ঠাঁই হয়েছে তালিকার নিচের দিকে। ব্লুমবার্গের ‘কোভিড রেজিলিয়েন্স র্যাঙ্কিং’ অনুসারে গত নবেম্বরে ২৪ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চমৎকার দক্ষতা দেখিয়ে একমাসের ব্যবধানে চারধাপ ওপরে উঠে এসেছে। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির নিশ্চয়তার সূচকে ভাল স্কোর গড়ে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৮৫ দশমিক ৬। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তাইওয়ানের স্কোর ৮২ দশমিক ৪। এরপর রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া (৮১), নরওয়ে (৭৭), সিঙ্গাপুর (৭৬.২), ফিনল্যান্ড (৭৫.৮), জাপান (৭৪.৫), দক্ষিণ কোরিয়া (৭৩.৩), চীন (৭২), ডেনমার্ক (৭০.৮), কানাডা (৭০), ভিয়েতনাম (৬৯.৭), হংকং (৬৮.৫), থাইল্যান্ড (৬৮.৫), আয়ারল্যান্ড (৬৭.৩), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৬৫.৬), ইসরায়েল (৬২.৪), রাশিয়া (৬১.৭), নেদারল্যান্ডস (৬১.৩) এবং বাংলাদেশ (৫৯.২)।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পরে ২৯ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। তাদের স্কোর ৫৪ দশমিক ৮। আর ৫০ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারত রয়েছে ৩৯ নম্বরে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে তালিকার শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের চেয়েও ভাল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রবৃদ্ধি যেখানে মাইনাস ৬ দশমিক ১ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।