ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোর এর অন্তর্গত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট (বীর) এর ‘৬ষ্ঠ কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট ’ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
রোববার ৩ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সেনানিবাসস্থ শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে মনোমুগ্ধকর ও ঐতিহ্যবাহী এই অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
রোববার দুপুরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসাবে সেনাবাহিনী প্রধান ঐতিহ্যবাহী সামরিক রীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘‘রেজিমেন্ট অব দি মিলেনিয়াম’’এর অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
অনুষ্ঠানে সেনাসদর, আর্মি ট্রেনিং এ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, স্থানীয় ফরমেশন এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্যারেড স্কয়্যারে পৌঁছালে সেনাপ্রধানকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয় এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের একটি চৌকষ দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এরপর বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাবাহিনী প্রধানকে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘কর্নেল র্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরে তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘বীর গৌরব’ এ পুস্পস্তবক অর্পন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ১৬তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এই রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
তিনি বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এই রেজিমেন্টের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে রেজিমেন্টের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে এই রেজিমেন্টের সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্যের মাঝে আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।