ডেস্ক নিউজ
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় খুব শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ডেস্ক। বৃহস্পতিবার কলকাতার ভারত চেম্বার অব কমার্সে আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ: নিউ হরিজনস অব ট্রেড এন্ড বাইলেটারাল রিলেশন’ শীর্ষক এক আলোচনায় এমন প্রস্তাব দেন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এন.জি খৈতান।
তার প্রস্তাবে তৎক্ষণাৎ সমর্থন জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানান, বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ডেস্ক চালু করার বিষয়ে দ্রুত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা দরকার।
এন জি খৈতান বলেন, আমরা দুই দেশের মানুষই রবীন্দ্রসঙ্গীত ভালোবাসি। আমাদের ভাষা এক, একই সীমান্ত। তবে আমরা বাণিজ্য ক্ষেত্রে কেনো পিছিয়ে থাকবো?
তিনি আরো বলেন, ভারতের পরে স্বাধীন হয়েও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি। পোশাক শিল্প যেভাবে উন্নতি করেছে তাও অবিশ্বাস্য।
এসময় দুই দেশের বাণিজ্যের সাহায্যের জন্য ভারত চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে নতুন করে “বাংলাদেশ ডেস্ক” নামে একটি কাউন্টার চালু করার কথা বলেন এন জি খৈতান। তিনি বলেন, আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশের নামে ডেস্ক থাকলেও বাংলাদেশ ডেস্ক বলে এখানে কিছুই নেই। বাংলাদেশ ডেস্ক চালু হলে বাংলাদেশ সম্পর্কিত সকল ধরণের তথ্য বা সহায়তা পাওয়া যাবে।
একইসঙ্গে দুই দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ গড়ে তুলতে বছরে অন্তত দুবার প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু করার প্রস্তাব দেন এন জি খৈতান। তার মতে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বছরে দুবার অর্থাৎ প্রতি ছয় মাসে একবার করে দুই দেশের প্রতিনিধিরা যাতায়াত করবেন এবং ব্যবসা সংক্রান্ত মতবিনিময় করবেন। এন জি খৈতানের এই প্রস্তাবেও সম্মতি দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সভায় ভারত চেম্বার অব কমার্সের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সীমান্ত এলাকায় নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন টিপু মুনশির কাছে। এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, মুষ্টিবদ্ধ হাতে যেমন করমর্দন হয় না তেমনি আমাদেরও থেমে থাকলে হবে না। এখনই শুরু করে দিতে হবে। আমাদের ব্যবসা বাড়াতে হবে। কারণ আমি মনে করি `better late than never’.
পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশকে ভারত সরকার বিনিয়োগ করার সুযোগ বন্ধ রেখেছে। আমরা চাইছি বটে। তবে যেটা শুনেছি, কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিনিয়োগ করতে চায় তার ‘কেস টু কেস’ তারা পর্যালোচনা করবে। আমরা এখানে বিনিয়োগ করতে চাই। কারণ বাংলাদেশ সরকার সুযোগ করে দিয়েছে, যেসব ব্যবসায়ী বিদেশে গিয়ে ব্যবসা করতে চান, তারা তা করতে পারেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজর অকৃত্রিম ভালোবাসার। সে কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজ পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ।