ডেস্ক নিউজ
কলা গাছ থেকে উন্নতমানের গবাদি পশু খাদ্য তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম আহসান কবীর। কলা গাছ থেকে কলা কাটার পর গাছের কান্ডকে প্রক্রিয়াজাত করে এ গবাদি পশু খাদ্য তৈরি সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। গবাদিপশু খাদ্য হিসেবে কলা গাছের সাইলেজ, হেলেজ এবং মিশ্র খাদ্য তৈরির কৌশল উদ্ভাবন করেন এই শিক্ষক ও গবেষক। খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে গবেষক ড. আহসান কবীর জানান, প্রথমে কলা গাছের কান্ড মেশিনের সাহায্যে কেটে ছোট টুকরা করে রোদে শুকিয়ে আর্দ্রতা ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এরপর বিভিন্ন খাদ্য উপাদান মিশিয়ে ড্রাম বা ব্যাগে বায়ুশূন্য অবস্থায় ৭ থেকে ১৪ দিন গাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এ খাদ্যই কলা গাছের সাইলেজ। আর কলা গাছের সাইলেজ রোদে শুকিয়ে আর্দ্রতা শতকরা ৩৫ থেকে ৪০ ভাগে আনার পর সেই খাদ্যকে বলে কলা গাছের হেলেজ। শতকরা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ কলা গাছের হেলেজ ও অন্যান্য দানাদার খাদ্য উপাদানের মিশ্রণে কলা গাছের মিশ্র খাদ্যটি প্রস্তুত করা হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রস্তুত গবাদিপশু খাদ্য খুব সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণসম্পন্ন।
ড. আহসান কবীর আরও জানান, ‘কলা গাছ বর্ষজীবী উদ্ভিদ। বছরে একবার ফল দিয়েই মারা যায়। গাছ থেকে কলা সংগ্রহের পর বাকি অংশ (কান্ড) পরিবেশে বর্জ্য হিসেবে থেকে যায়। প্রতি টন কলা উৎপাদনে দ্বিগুণ পরিমাণে কলা গাছের বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যার কোনো ব্যবহার নেই বললেই চলে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম দামে গবাদিপশু খাদ্য তৈরি করা সম্ভব। এতে খামারিরা অল্প খরচে গবাদিপশু পালন করতে পারবেন।’