নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কলেজ ছাত্রী তামান্না আক্তার প্রিয়া ওরফে টিয়াকে বাড়ি থেকে বাবা মার সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে কলেজ ছাত্রী তামান্নার বাবা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে নাটোরের নলডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। নিহত কলেজ ছাত্রী রাজশাহীর বাগমারা সমসপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে ও পুঠিয়ার সাধনপুর পঙ্গু শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) উজ্জল হোসেন জানান,শনিবার রাতে কলেজ ছাত্রী তামান্নার বাবা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে পুঠিয়া উপজেলার সাধনপুরের খিদিরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলামকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার সাধনপুর খিদিরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলাম (২০) বাড়িতে এসে বাবা মাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের সামনে থেকে তামান্নাকে জোর করে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দুরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পীরগাছার রাখালগাছা নামক স্থানে একটি আম বাগানে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখে আসামী শান্ত পালিয়ে যায়। ১৯ অক্টোবর শনিবার সকালে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পীরগাছা গ্রামের রাখালগাছা এলাকায় আম বাগানে একটি আম গাছের ডালে কলেজ ছাত্রী তামান্না আক্তার (১৭) গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ।