ডেস্ক নিউজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের এই পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, “স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। টিকা আসছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়া গেলে তাড়াতাড়ি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে।”
মহামারীর প্রথম ঢেউ সামাল দেওয়ার মধ্যেই গত বছরের নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে চুক্তি করে বাংলাদেশ।
দুই চালানে সেরাম ইনস্টিটিউট ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ বেকায়দায় পড়ে। তাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার শঙ্কা জাগায় এপ্রিলে সরকার অন্য উৎস থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা শুরু করে।
এর অংশ হিসেবে এপ্রিলের শেষে এবং মে মাসের শুরুতে রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় সরকার। চীনের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ১২ মে ঢাকায় পৌঁছায়।
চীন থেকে পাওয়া উপহারের টিকা বিভিন্ন মেডিকেল, নার্সিং শিক্ষার্থী এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে জানিয়েছে।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ৪০টির সংস্কার শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মহামারীর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরো বাড়ছে কিনা সাংবাদিকরদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আপাতত ৬ দিন আরো দেখবো, ভারতের অবস্থাও দেখছি তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়’ পূর্বের সকল বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৬ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।