এবার টিকেট কালোবাজারিদের ধরতে মাঠে নামছে রেল পুলিশ। রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের তিন শতাধিক কালোবাজারির তালিকা নিয়ে এ অভিযান চালানো হবে। বিনা টিকেটে ভ্রমণ করা রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে নিয়ে ঘটে যাওয়া কেলেঙ্কারির পর সবার টনক নড়ে। এ অবস্থায় পশ্চিমাঞ্চলে কালোবাজারির টিকেট ব্যবহার করায় তিন যাত্রীকে শাস্তি দেয়ার ঘটনায় ফের সমালোচনার মুখে পড়ে রেল। এ অবস্থায় রেলের দীর্ঘদিনের চিহ্নিত টিকেটে ব্ল্যাকারদের ধরতে সক্রিয় হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সম্প্রতি ঢাকায় ‘সহজ এ্যাপস’ কর্মকর্তাকে টিকেট কালোবাজারির দায়ে গ্রেফতারের পর তার জবানবন্দীতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলেও সম্প্রতি চার কালোবাজারিকে গ্রেফতারের পর তারা ফাঁস করে রেলের অসাধু চক্রের গোপন তথ্য। এভাবে চিহ্নিত হওয়া দালালদের তালিকা নিয়ে মাঠে নামছে রেল পুলিশ। রেল সূত্রের মতে, শক্তিশালী দালালচক্রের কাছেই থাকে গোটা রেলের সিংহভাগ টিকেট।
জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, শুধু ব্ল্যাকার কেন, যে কোন ধরনের অনিয়ম ও দুনীতি সংক্রান্ত অভিযোগ পেলেই শাস্তি দেয়া হচ্ছে। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। চিহ্নিত টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি কালোবাজারির কাছ থেকে টিকেট কেনার দায়ে তিন যাত্রীকে জরিমানা করে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে রেলওয়ে। এটিকে রেলওয়ের ‘বিতর্কিত’ কর্মকা- উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, রেলওয়ের অব্যবস্থাপনায় ট্রেনের টিকেট অনলাইনে এবং কাউন্টারে পাওয়া যায় না। সেই টিকেট পাওয়া যায় কালোবাজারির হাতে। বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রী সেখান থেকে টিকেট কেনেন। কিন্তু এখন কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে যাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে রেলওয়ে। এটা রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই না। তবে রেল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনআইডি কার্ড দেখিয়ে প্রত্যেক যাত্রীর টিকেট কাটা বাধ্যতামূলক। তাই কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকেট কেনাও অপরাধ।
জানা গেছে, এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হবার পর খোদ রেলমন্ত্রী নির্দেশ দেন টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। মূলত তারপরই রেল কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত কালোবাজারি বা দালালদের ধরার জন্য একটি তালিকা তৈরি করে মাঠে নামার পরিকল্পনা করে। এরই মধ্যে গণমাধ্যমকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, এই চক্রের সঙ্গে রেলের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে সেটাও বেরিয়ে আসবে। রেলের কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, ঈদসহ অন্যান্য উৎসবে চড়া দামে টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে শুধু বহিরাগতরাই জড়িত নয়। খোদ রেলেরও একটি সিন্ডিকেট জড়িত। যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় টিকেট কালোবাজারি হয়ে থাকে। সম্প্রতি ট্রেনের টিকেট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে সহজ ডট কমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রেজাউল করিম রেজাকে আটক করে র্যাব। এরপর তাকে চাকরিচ্যুত করেছে সহজ ডট কম। এ সম্পর্কে জানা যায়, গত ২১ মার্চ তাকে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি নিয়োগ দেয়। সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ওই অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চাকরিচ্যুত করে। তার বিরুদ্ধে টিকেট কালোবাজারির মতো ঘৃণ্য অপরাধ এবং প্রতিষ্ঠানের মানহানির অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সহজের ওই কর্মকর্তাকে ২৬ এপ্রিল কমলাপুর থেকে আটক করে র্যাব। এরপর তাকে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়।
এদিকে ওই রেজাকে গ্রেফতারের পর অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তারপর অন্যান্য কর্মকর্তার নাম ফাঁস করার হুমকি দেয়াতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রেলভবন ও রেলস্টেশনগুলোতে। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের কোন স্টেশনের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় প্ল্যাটফর্মের বহিরাগত দালালরা এ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ঢাকার পরই কালোবাজারির শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চল। সেখানে কমপক্ষে একশ’ ব্যক্তি কালোবাজারিতে জড়িত। যাদের সঙ্গে রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। গত ৩০ মার্চ রাতে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ফয়সাল ও মজনু মিয়া এমন তথ্য দিয়েছেন। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ জানায়, চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৬৫ টাকার একটি টিকেট ৩০০ টাকায় বিক্রির সময় ফয়সালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ছয়টি টিকেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার ফয়সাল জানান, তাকে এসব টিকেট দিয়েছেন মজনু মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন রাতে স্টেশন এলাকা থেকে মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মজনু মিয়া জানিয়েছেন, রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব টিকেট বিক্রির জন্য তাকে দিয়েছেন। তবে ওসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম তিনি রেলওয়ে পুলিশকে জানাননি। একইদিন রাতে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬৫৬ টাকার টিকেট ১১০০ টাকায় বিক্রির সময় নতুন স্টেশন এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় তার কাছ থেকে আটটি আসনের টিকেট উদ্ধার করা হয়।
রেল ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ফয়সাল এসব টিকেট রেলওয়ের লোকজনের কাছ থেকে নিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। রেলওয়ের ওসব লোক কারা, তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি। এর আগে গত ৯ মার্চ কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোড এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক টিকেট কালোবাজারিকে গ্রেফতার করে সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ২০টি আসনের টিকেট জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আসছিল। রেলওয়ে স্টেশনের ভেতরে ও বাইরে, বিভিন্ন চায়ের দোকান এবং পানের দোকানে বিক্রি হয় টিকেট। শুধু তাই নয়, নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারের কিছু ব্যবসায়ীর কাছেও মিলছে টিকেট। এছাড়া টিকেট কালোবাজারিতে স্টেশনের বুকিং ক্লার্ক, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ, আনসার ও স্টেশন এলাকায় কর্মরত অসাধু রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত আছে।
এ বিষয়ে রেলসূত্র জানায়, আপাতত বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া ট্রেনের টিকেটের সূত্র ধরে কালোবাজারির খোঁজে নেমেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী দুটি টিকেট জব্দের পর সেগুলোর এনআইডি নম্বর নিশ্চিত হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এসব এনআইডির মালিকদের চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছেন রেল কর্মকর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, তিনি নিজেই ট্রেনে অভিযান চালিয়ে কালোবাজারিতে বিক্রি হওয়া দুটি টিকেট উদ্ধার করেন। টিকেট দুটির সূত্র ধরেই কালোবাজারি চক্র চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
জানা গেছে, সেদিন ভ্রমণের আগে এক ব্যক্তি ফেসবুকে টিকেটের ছবি দিয়ে জানান যে তিনগুণ দামে টিকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি। পরে সেই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে যান পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার। রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই টিকেটের খোঁজ শুরু করেন এবং দুটি টিকেট পেয়েও যান। সেই টিকেটগুলোর সূত্র ধরে এখন কালোবাজারির খোঁজে কাজ শুরু করেছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা। এই টিকেট কে সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করেছেন তা জানতে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা যাবে, কে টিকেট কেটেছিলেন। শনাক্ত হবে কালোবাজারি চক্রটি। রেল কর্মকর্তাদের মতে, এই চক্রের সঙ্গে রেলের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে সেটাও বেরিয়ে আসবে। রেলের কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর বাইরের কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।
এ সম্পর্কে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, টিকেট কালোবাজারি বন্ধে ইতোপূর্বে আরও অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর ফলও মিলেছে। চলতি বছরে আমরা ৫ কালোবাজারিকে চিহ্নিত করেছি। তারা স্টেশন এলাকায় নিষিদ্ধ। কাউন্টার থেকে তাদের নামে কোন টিকেট দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া রেলের তিন বুকিং সহকারীকে সতর্কতামূলকভাবে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের আরও বেশ কয়েকটি রেলস্টেশন থেকে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেল ভবনে তালিকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যেমন, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে টিকেট কালোবাজারিদের তালিকা থাকার পরও তাদেরকে গ্রেফতার না করায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। কালোবাজারিদের বিপরীতে এ কর্মকর্তার অবস্থান নিয়েও সভায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তারা টিকেট কালোবাজারের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এ সময় জংশনে দায়িত্বরত রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বলা হয়, রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরে পান, সিগারেট ও পানি বিক্রির আড়ালে টিকেট কালোবাজারি করা হয়। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কাছে কালোবাজারিদের তালিকাও রয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে যোগসাজশ থাকার কারণে তিনি কালোবাজারিদের আইনের আওতায় আনছেন না।
এ সময় উপস্থিত কয়েক সদস্য জানান, অনলাইনে টিকেট কাটার নির্দিষ্ট সময় শুরুর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে কালোবাজারিরা কাউন্টারে কর্মরতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অধিকাংশ টিকেট কিনে নেয়। পরে সেগুলো উচ্চমূল্যে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। রেলওয়ে জংশন পার্কিংয়ে অবৈধভাবে যানবাহন রাখা নিয়েও বক্তারা আলোচনা করেছেন। অবশ্য সভায় উপস্থিত রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুনুর রশিদ দ্রুত কালোবাজারিদের আইনের আওতায় আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জংশনটিতে ৭ কালোবাজারি নিয়মিত অবস্থান করে বলে জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব। তিনি তাদের তালিকাও সংগ্রহ করেছেন। দেশের অধিকাংশ রেলস্টেশনেরই চিত্র এ রকম বলে জানা গেছে। চিহ্নিত টিকেট কালোবাজারি ও দালালরা দীর্ঘদিন ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে রেল কর্মকর্তাদের আশীর্বাদেই।
এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে কমপক্ষে তিনশ’ ব্ল্যাকার বা দালাল রয়েছে যারা শুধু দুই ঈদেই টিকেট কালোবাজারি করে লাখ লাখ টাকা আয় করে। যার সিংহভাগ যায় রেলের ছোট-বড় সবার পকেটে। এদের মধ্যে কমলাপুরেই ১২৩ চিহ্নিত দালাল সক্রিয়। তাদের বেশিরভাগই একাধিবার গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে এসে ফের শুরু করে এই অনৈতিক বাণিজ্য। কমলাপুর ছাড়াও ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী, গাজীপুর, নরসিংদী, ভৈরব, ময়মনসিংহ, আখাউড়া, লাকসাম থেকে চট্টগ্রামের স্টেশনগুলোতে রয়েছে ৯০ জন। বাকিরা পশ্চিমাঞ্চলের বড় বড় রেল স্টেশন ও জংশনে সক্রিয়। তাদের তালিকা সম্পর্কেও রেলভবনের নীতিনির্ধারকরা অবহিত।
ভুক্তভোগীদের মতে, সারাদেশে রেল পুলিশের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার যৌথ অভিযানেই দালালদের নির্মূল করা সম্ভব। বিক্ষিপ্তভাবে দু’চারজনকে ধরে লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে ওদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না।