ডেস্ক নিউজ
কিশোরগঞ্জ জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ^বিদ্যালয় নামে একটি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করার করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে। উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশে^র সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ^বিদ্যালয় আইন-২০২০’ পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাস হওয়া বিলে বিশ^বিদ্যালয়ের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে এই আইন এবং কমিশন আদেশের বিধান সাপেক্ষে বিজ্ঞান, কলা, মানবিক, সমাজবিজ্ঞান, আইন, ব্যবসায় প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এবং জ্ঞানবিজ্ঞানের নতুন নতুন শাখায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান, গবেষণা জ্ঞানের সৃজন, উৎকর্ষ সাধন ও বিতরণের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া কর্মদক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টির জন্য আধুনিক প্রযুক্তি পেশা, বৃত্তি ও অর্থনৈতিক চাহিদার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার নির্ধারিত মানদÐ অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাশাপাশি আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি অনুসরণ করে অনলাইন দূরশিক্ষণ, ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষাদানের সমন্বয়ে শিল্প বাণিজ্য সমাজ ও অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সীমিত ও দীর্ঘমেয়াদি কোর্স প্রণয়ন ও পরিচালনা।
বিশ^বিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যয় ও শিক্ষার্থীদের বেতনাদি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ^বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিচালন ব্যয়ের (মূলধন ব্যয় ব্যতিরেকে) নিরিখে শিক্ষার্থীদের কাছ হতে বার্ষিক আদায়যোগ্য বেতন ও ফি নির্ধারিত হবে। নির্ধারিত বেতন ও ফি সেমিস্টার
শুরু হওয়ার আগেই পরিশোধ করতে হবে। অবসর প্রসঙ্গে আইনে বলা হয়েছে, বিশ^বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ৬৫ বছর বয়স পূর্তি হলে অবসর গ্রহণ করবেন। বিশ^বিদ্যালয়ের সব কর্মচারী ৬০ বছর পূর্তিতে অবসর গ্রহণ করবেন।
বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্মিলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন বৌলাই ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ^বিদ্যালয় নামে একটি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় বিশে^র সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় নামে একটি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সংসদে বিল পাস হয়েছে। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় বিল-২০২০’ পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতি সাধন এবং এ বিশ^বিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করা অতি প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।