নিউজ ডেস্ক:
‘গ্যাং কালচারের’ নামে দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কিশোরদের একাংশ। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে প্রাণ হারায় উত্তরার ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান কবির। তারপর থেকেই উঠতি বয়সী ছেলেদের এলাকা ভিত্তিক এই গ্যাং কালচার ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিভাবকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর চান মিয়া হাউজিংয়ে চাপাতির কোপে মহসিন (১৪) নামের এক কিশোর খুন হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস বলেন, মহসিন খুনের সঙ্গে জড়িতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আধিপত্য বিস্তার ও একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার পর এবার বখে যাওয়া কিশোরদের এই নৈরাজ্য রোধে উঠেপড়ে লেগেছে ঢাকা পেট্রোপলিটন পুলিশ। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই অভিযান চালানো শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রাজধানীর হাতিরঝিলে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে শতাধিক কিশোর-তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘অভিযান চালিয়ে ঢাকায় কিশোর গ্যাংসহ অন্য সব গ্যাং নিশ্চিহ্ন করে দেব। কোনো কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব থাকতে দেব না।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘কিশোর গ্যাং বলি আর বড় গ্যাং বলি, ঢাকায় গ্যাং বলে কোনো শব্দ থাকবে না। সবাইকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে ডিএমপি শূন্য সহিষ্ণু নীতি অবলম্বন করেছে। ঢাকায় কোনো গ্যাং থাকবে না। এ ছাড়া অন্য কাউকেই তাজিয়া মিছিলে নাশকতা করতে দেওয়া হবে না।’
বিশিষ্ট নাগরিকদের মতে, কিশোরদের এই গ্যাং কালচার রুখতে পরিবারের ভূমিকা জরুরি। পারিবারিক সুদৃঢ় সম্পর্কই পারে সন্তানদের সুনাগরিক বানাতে।