ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মানুষ কেবল স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকারই প্রয়োগ করেনি নির্বাচনটাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল।
তিনি বলেন, মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে। আমি মনে করি, নির্বাচনের ইতিহাসে এটা একটা দৃষ্টান্ত। গণতান্ত্রিক পরিবেশেরই মধ্যেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিহিত।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরফানুল হক রিফাতকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরকে শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়কমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি এটা চাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রতি আপনাদের যে কর্তব্য ও দায়িত্ব রয়েছে তা আপনারা যথাযথভাবে পালন করবেন, যাতে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আপনাদের ওপর থাকে।
তিনি বলেন, যে বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে ভোট দিয়েছে সেই বিশ্বাসে যেন কখনো চিড় না ধরে, সেই বিশ্বাস যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই বিশ্বাসকে ধরে রেখে আরও বিশ্বাস যাতে অর্জন করতে পারেন সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।
এ সময় মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে এবং তাদের প্রতি যথাযথভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার জন্য কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগ প্রযুক্তিনির্ভর এবং বেশিরভাগ দেশই তাদের নির্বাচনে প্রযুক্তি ও নির্বাচনী ভোটিং মেশিন ব্যবহার করছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকার উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে যা যা করার আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। কেননা, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছে এবং দলটির প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের আগে মানুষ কীভাবে তার সুফল পাবে সেটা বিবেচনায় রাখা হয়। ইতোপূর্বে সরকার কুমিল্লার টেকসই উন্নয়নে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যদিও সে সময় কুমিল্লার মেয়র অন্য দলের ছিলেন।
তিনি বলেন, মেয়র কোন দলের আমরা সেটা দেখি না, আমরা কুমিল্লার উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েছি। শুধু একটা অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য গড়ে তোলা না। এর মাধ্যমে জনগণের কী লাভ হবে, এর মধ্য দিয়ে আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কতটুকু অবদান রাখতে পারছি বা ওই এলাকার উন্নয়নে কতটুকু অবদান রাখতে পারছি, সেটাই বিবেচ্য হতে হবে।