কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল সাবাহ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ৯১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিন টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে দেশটির রাজকীয় বিষয়কমন্ত্রী শেখ আলী জারাহ আল-সাবাহ বলেন, কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ’র মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত দু:খিত এবং শোকাহত।
শেখ সাবাহ ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কুয়েতের আধুনিক পররাষ্ট্র নীতির স্থপতি হিসেবে তিনি সর্বাধিক পরিচিত। ১৯৬৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ৪০ বছর তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০০৬ সালে শেখ জাবের আল সাবাহ’র মৃত্যুর পর তিনি কুয়েতের আমির হন।২০১৯ সালে কুয়েত জানায়, তাদের আমির অজানা রোগে ভুগছেন। এর কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
২০২০ সালের জুলাইতে চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষষ্ট্রে যান। সেখানে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। মার্কিন এয়ার ফোর্স সি-৭ উড়ন্ত হাসপাতালে কুয়েত থেকে শেখ সাবাহ যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার রচেস্টারের মায়ো ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে যান।
২০০২ সালে আমিরের অ্যাপেন্ডিকস অপসারণ করা হয়। দু’বছর পরে তার শরীরে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আমিরের মুত্রনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
অতীতে আমিরের অনুপস্থিতিতে তার সৎভাই ৮৪ বছর বয়সী ক্রাউন প্রিন্স প্রিন্স নায়েফ আল আহমাদ আল সাবাহ দেশটির ভারপ্রাপ্ত শাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী শেখ নায়েফ দেশটির জ্যেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। কয়েক দশক ধরে তিনি দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করছেন। এরমধ্যে, প্রতিরক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অন্তর্ভুক্ত।
আঞ্চলিক সংকট সমাধানে কূটনীতির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন শেখ সাবাহ। তার মধ্যে চার আরব দেশের কাতার বয়কট এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক, সিরিয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহ অন্যতম।