কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান। তার মৃত্যুতে ৪০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের পাশাপাশি কুয়েতে ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন আমির হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ক্রাউন প্রিন্স শেখ নাওয়াফ আল আহমাদ আল সাবাহ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহেমদ আল সাবহার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়। ২০০৬ সালে শেখ জাবের আল সাবাহর মৃত্যুর পর আরব উপসাগরের তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েতের আমিরের দায়িত্বে ছিলেন শেখ সাবাহ। দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। সবশেষ চলতি বছরের জুলাইয়ে শারীরিক জটিলতার কারণে চিকিৎসা নিতে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি জমান শেখ সাবাহ। তার অবর্তমানে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের ভার পান তার ভাই যুবরাজ শেখ নাওফ আল-আহমদ আল-সাবাহ।
১৯২৯ সালে জন্ম নেয়া শেখ সাবাহকে আধুনিক কুয়েতের স্থপতি হিসেবে ভাবা হয়। ১৯৬৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ বছর পর্যন্ত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এরপর কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ নেতা।
আরব উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চরমে পৌঁছালে উভয়পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কুয়েতের আমির। ১৯৯০ সালে ইরাক কুয়েতে হামলা চালালে কূটনীতিক হিসেবে দক্ষতার প্রমাণ দেন শেখ সাবাহ। এছাড়া, কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পারস্য উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সঙ্কট সমাধানে পালন করেছেন মধ্যস্থতা ভূমিকা।