ডেস্ক নিউজ
ব্রুনাই দারুসসালাম তাদের কৃষিখাতের সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।
ঢাকায় নবনিযুক্ত ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে একথা বলেন।
‘আপনারা কৃষিখাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন, কাজেই আমাদের কৃষিখাতের বিশেষ করে হ্যাচারি (কৃত্রিম মৎসপোনা উৎপাদন) খাতের সম্প্রসারণে আমরা আপনার সহায়তা চাই,’ ব্রুনাই হাইকমিশনারকে উদ্বৃত করে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিকেলে বৈঠকের বিষয়ে সংসদ ভবনে সাংবাদিকদের অবহিতকরণকালে একথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং হাইকমিশনার বৈঠককালে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার মাত্রা আরো বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যশস্য এবং সবজি উৎপাদনের সাফল্য নিয়ে ব্রুনাই’র সংগে নিজস্ব অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে।
তিনি তাঁর সরকারের উদ্যোগে সারাদেশে গড়ে তোলা একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্রুনাইকে খাদ্য এবং কৃষিপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন যে, বাংলাদেশ ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনকালে ব্রুনাই সুলতানের বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে অপেক্ষমান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক ব্রুনাই সফরের কথাও এ সময় স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সবধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার পণ্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ’দ্বৈতকর নীতি’ পরিহার করার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর নিকট উত্থাপন করেন।
তিনি আরো বলেন, ব্রুনাই বাংলাদেশের সঙ্গে এর ব্যবসা এবং বাণিজ্য বাড়াতে চায় এবং এ ব্যাপারে ইতোমধ্যেই এফবিসিসিআই’র সঙ্গে আলাপ করে বাংলাদেশ-ব্রুনাই ব্যবসায়ী ফোরাম গঠনের প্রস্তাব করেছে।
হাজি হারিস ওথমান বাংলাদেশের চমকপ্রদ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র বিমোচনের প্রশংসা করেন।
ব্রুনাইতে বাংলাদেশের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘এদের বেশিরভাগই চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং শিক্ষক।’
তাঁর দেশ বাংলাদেশ থেকে মাংস আমদানী করতে ইচ্ছুক বলেও হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।