নিউজ ডেস্ক:
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের আমলে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষিতে চলমান অগ্রগতি ধরে রাখতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে কৃষি বান্ধব করে সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। যেখানে আগে দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য দেড় কোটি মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন হতো। এর মধ্যে দেশের উৎপাদন হতো ১ কোটি ১০ লাখ ১০ মেট্রিক টন। ফলে ৪০ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য ঘাটতি পূরণে অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর দয়ার উপর অপেক্ষা করতে হতো দেশকে।
সরকারের কৃষি বান্ধব বাজেটের ফলে ২০১৮ সালে দেশে ৩ কোটি ৬২ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩০ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা, ১৫ লাখ মেট্রিক টন গমসহ ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়। আরও ১ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন করে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।
বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদনে সাফল্য আমাদের খাদ্য আমদানি নির্ভরতা থেকে রপ্তানিমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের প্রত্যেক মানুষ আজ তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারছে। কৃষকরা উদ্ভাবন ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা উভয়কেই সাদরে গ্রহণ করে ঢেলে সাজিয়েছে বাংলাদেশের কৃষিকে। তাতেই গতি সঞ্চারিত হয়েছে কৃষি অর্থনীতিতে। কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ায় চাষাবাদে এখন অল্প অর্থ ব্যয় করতে হয় কৃষকদের। সরকার কৃষকদের এত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বিধায় এত ধান উৎপাদিত হয়েছে; যা অতীতে হয়নি। কাজেই কৃষক ও কৃষিকে রক্ষা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। আর তাই কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা হয়েছে। সুষম সেচ ও সার সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে চাষাবাদের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। কৃষি বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সাফল্য।