ডেস্ক নিউজ
দীর্ঘ ১১ বছরের চেয়েও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করছে বিএনপি। আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়া দেড় বছর যাবৎ কারাগারে অবস্থান করছেন। বিএনপির বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতাদের হাত ধরে চলছে ভঙ্গুর বিএনপি। ক্ষমতা হারানোর পর থেকে একের পর এক আন্দোলনের ডাক দিয়েও রাজপথে নামতে পারছে না তারা। ২০০৮ সালের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজধানীসহ সারা দেশজুড়ে চলতে থাকে অগ্নিসন্ত্রাস কর্মকাণ্ড। এতে করে আগুনে পুড়ে মারা যান হাজারো বেশি মানুষ। এরপর আদালত কর্তৃক হামলার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় গ্রেপ্তার হতে থাকে একের পর এক বিএনপি নেতা। এরপর দীর্ঘ কয়েকবছর জামিনে মুক্ত পেয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। কিন্তু রাজপথে নামার আর কোনো লক্ষণই দেখা পাওয়া যায় না তাদের। বিএনপির বর্তমানে যে অবস্থা চলছে তাতে মনে হচ্ছে বিএনপি ভুলেই গিয়েছে রাজপথ কী।
পরবর্তী থেকে এক প্রকার তামাশাই শুরু করে বিএনপি তাদের সাথে। আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও রাজপথে না পেরে এক প্রকার নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার স্বীকার করে বিএনপি। সারাবছর আন্দোলন করার নামে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও মুসলমানদের দুইটি ধর্মীয় উৎসবের পর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে আসছে বিএনপি। প্রতিবছরের ন্যায় এইবারও ঈদের পর আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। কিন্তু রোজার ঈদের পর কোরবানীর ঈদ এসেও ইতোমধ্যে একমাস হতে চললো ঈদের। এখন পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে রাজপথে নামতে পারেনি বিএনপি।
এর কারণ হিসেবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন দলের মধ্যকার অন্তঃকোন্দলের কারণেই তারা রাজপথে আন্দোলন করতে পারছেন না। দলের কেন্দ্রীয় প্রধান জেলে ও তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় বিদেশে পলাতক থাকায় দলের অবস্থা একবারেই শোচণীয়। আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাজপথে নামতে না পারা, দলের ঐক্য না থাকা, জনগণ থেকে দূরে থাকাসহ বিভিন্ন কারণে আন্দোলন করা থেকে দূরে চলে এসেছে বিএনপি।