ডেস্ক নিউজ
করোনা মহামারী মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুুমবার্গের কোভিড রেজিলিয়েন্স বা কোভিড সহনশীলতা সূচকে চলতি মাসে পাঁচ ধাপ এগিয়ে বিশ্বের ৫৩টি দেশের মধ্যে ৩৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। গত আগস্টে ব্লুুমবার্গের এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৪তম।
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যসেবার মান, টিকাদান, সামগ্রিক মৃত্যুহার ও গত মাসে ভ্রমণ পুনরায় শুরু এবং সীমান্ত বিধি-নিষেধ শিথিলসহ মোট ১২টি তথ্য সূচকের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বৃহত্তম ৫৩ অর্থনীতির দেশকে নিয়ে এই সূচক তৈরি করেছে ব্লুুমবার্গ। মঙ্গলবার প্রকাশিত ব্লুুমবার্গের সূচক অনুযায়ী, করোনা মহামারী মোকাবেলায় মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫৯ দশমিক ৬। যেখানে প্রতিবেশী ভারতের এই স্কোর ৫৬ দশমিক ২ এবং পাকিস্তানের ৫৬ দশমিক ১।
গত চার মাসে বাংলাদেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সর্বনিম্ন রেকর্ড এবং ৫০০ দিনেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলে যাওয়ায় কোভিড সহনশীলতার এই সূচকে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের।
মার্কিন এই দৈনিক বলছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতার ফলে সহনশীলতা সূচকে বাংলাদেশ গত জুলাইয়ে ৪৮তম স্থান থেকে আগস্টে ৪৪তম এবং সেপ্টেম্বরে ৩৯তম স্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে, প্রতিবেশী ভারত এবং পাকিস্তানের তিন ধাপ অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে এই দুই দেশ যথাক্রমে ৪৫ এবং ৪৬তম স্থানে অবস্থান করছে।
তবে ব্লুমবার্গের বৈশ্বিক এই সূচকের শীর্ষে আছে আয়ারল্যান্ড। মহামারী মোকাবেলায় সফলতার কারণে আগস্টের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে শীর্ষে পৌঁছেছে দেশটি। বিশ্বে টিকাদানের হারে সেরা দেশগুলোর অন্যতম আয়ারল্যান্ড, এখন পর্যন্ত দেশটির ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশকে ইতোমধ্যে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
কোভিড সহনশীলতা সূচকে পিছিয়ে পড়লেও ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশের তুলনায় দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষকে টিকায় সুরক্ষিত করেছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩১ দশমিক ৩ শতাংশকে টিকা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানে টিকাদানের এই হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
সূচকে বলা হয়েছে, গত মাসে বাংলাদেশে দৈনিক গড়ে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ভারতে সংক্রমণের এই সংখ্যা প্রতি লাখে ৭৩ জন এবং পাকিস্তানে ৪২ জন। কিন্তু গত তিন মাসে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার ছিল ২ শতাংশের ওপরে এবং ভারতে যা ছিল দেড় শতাংশ এবং পাকিস্তানে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।
করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬৬ জনের এবং ভারতে সেই সংখ্যা ৩২৪, পাকিস্তানে ১২৫।