ডেস্ক নিউজ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কোস্টগার্ডকে সত্যিকার ‘গার্ডিয়ান অব সি’ হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ জন্য পর্যায়ক্রমে আরো অস্ত্র ভ্যাসেল ও এয়ার উইং সংযোজন করা হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজস্ব জনবল নিয়োগের মাধ্যমে কোস্টগার্ডকে স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদরদফতরে বাহিনীর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল এডমিরাল এম আশরাফুল হকসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত বছর বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্ট গার্ড পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক, কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদকপ্রাপ্ত ৪০ জনকে পদক পরিয়ে দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কোস্টগার্ডে চার হাজার সদস্য দায়িত্বপালন করছেন। কোস্টগার্ডে নিজস্ব জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি শুরু হলে কোস্টগার্ডের নিজস্ব সদস্য থাকবে, যারা স্থায়ীভাবে বাহিনীতে থেকে সেবা দিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পটুয়াখালীতে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রসহ বাহিনীটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কোস্টগার্ডে ইতোমধ্যে চারটি অস্ত্র ভ্যাসেল সংযুক্ত করা হয়েছে। আরো চারটি ভ্যাসেল যুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে খুব শিগগিরই যুক্ত হবে অত্যাধুনিক অফশোর প্যাট্রল ভেসেল (ওপিভি), হোভারক্রাফট ও অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন জলযান। প্রয়োজনে সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে আধুনিকায়ন করা হবে।
মাদক চোরাচালান রোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদক চোরাচালান রোধে আমরা মোটেও ব্যর্থ না। সীমান্তের দুর্গম এলাকায় বিজিবির টহল নিশ্চিতে সীমান্ত সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। বিজিরি নজরদারি বাড়াতে হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়েছে। কোস্টগার্ডও উপকূলীয় এলাকায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে মাদক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।