নিউজ ডেস্ক:
ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ করতেন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া শফিকুল আলম ফিরোজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ পূর্বে বিএনপির এক নেতার ক্যাডার ছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যারও অভিযোগ রয়েছে।
র্যাবের করা দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ফিরোজকে ঢাকার আদালতে পাঠায় ধানমন্ডি থানা পুলিশ। তিনি দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে আছেন। বর্তমানে ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সূত্র বলছে, ফিরোজের ছেলের নাম রচি। বাপ-বেটা দুজনই এলাকার আতঙ্ক। হাতিরপুলের দি তুর্কি অ্যাসোসিয়েট তার আদম ব্যবসায়ের অফিস। পাওনাদারেরা টাকা চাইলে দুই জনকে হত্যা করে ফিরোজ। কলাবাগান এলাকায় আরো দুটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে ফিরোজের বিরুদ্ধে। গ্রিন রোডে রূপসী কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ১২ কাঠার একটি জায়গার মালিক ছিলেন কায়কোবাদ নামে এক ব্যক্তি। ঐ জায়গাটি দখল করে বিক্রি করে দেন ফিরোজ ও তার পুত্র।
২০১৭ সালে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ছিলেন নামজুল করিম পিংকু। তিনি কলাবাগান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাকেও হত্যা করা হয়— এমন অভিযোগও রয়েছে। প্রতিপক্ষ কাউকেই জীবিত রাখবেন না— এই নীতিতে চলতেন ফিরোজ।
এখানেই শেষ নয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সে প্রভাব খাঁটিয়ে জায়গা দখল করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। কলাবাগানে ৩০ কাঠা জায়গা, ৭/৮ বছর ধরে পান্থপথ, রাজাবাজারের কিছু অংশ, মিরপুর রোডের পূর্ব অংশে যারা বাড়ি করবে তাদের নগদ টাকা ও একটি করে ফ্ল্যাট দিতে হতো ফিরোজকে। পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নির্মাণকাজ দুই বছর যাবত বন্ধ রাখে ফিরোজ। পরে বোঝাপড়া হওয়ার পর নির্মাণকাজ চালু হয়।
আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীদের একটি গ্রুপ পরিচালনাকারী ফিরোজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দখল, হত্যাসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা তিনি করেন না। কলাবাগান এলাকায় তিনি একটি আতঙ্ক।