নিউজ ডেস্ক:
প্রত্যেক দেশেরই একটি সুনিদির্ষ্ট কারেন্সি বা টাকা রয়েছে। বাংলাদেশের টাকা, আমেরিকার USD, ভারতের রুপি ইত্যাদি। এই কারেন্সিগুলো যেমন কাগজের মুদ্রায় পাওয়া যায়, তেমনি অনলাইন বা লিকুইড মানি হিসাবেও কিছু দেশের কারেন্সি পাওয়া যায়। অনলাইনে দেনদেন করার জন্য পেপাল, পেয়োনিয়ার, স্ক্রিল, নেটেলার, পারফেক্টমানি ইত্যাদি হাজারো কারন্সি রয়েছে।
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেডিং হচ্ছে ক্রিপটো ট্রেডিং। ক্রিপটো ট্রেডিং ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি দিয়ে করা হয়।
ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটার কারেন্সি আসলে কি?
পেপাল, স্ক্রিল, নেটেলার, পারফেক্টমানি ইত্যাদি হলো অনলাইন কারেন্সি, ঠিক তেমনি অনলাইনে লেনদেনের জন্য বতর্মানে সবচেয়ে আলোচিত কারেন্সি হল ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি। যে কারেন্সিগুলোর মূল্য এবং ব্যবহার উধর্গতি। অনেকের ধারনা আগামীদিনে ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি ছাড়া আর কোন লেনদেন থাকবে না, ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সিই হবে লেনদেনের প্রধান মাধম্য।
উদাহরণ হিসেবে ক্রিপটো কারেন্সিগুলো হল- বিটকয়েন, ইটারিয়াম, লাইটকয়েন, ডগিকয়েন, রিফল, ড্যাসকয়েন এরকম বাজারে অনেক ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি আছে।
2009 সালে বিটকয়েন প্রথম অনলাইনে যাত্রা শুরু করে প্রতিটা কয়েন 0.10 ডলার দামে। মানে 1 ডলারে 100 টা বিটকয়েন কেনা যেত। সেটা 2012 সালে 1300$ অথার্ৎ 1 বিটকয়েনের দাম 1300$ তে পোঁছায়।
এরপর থেকে একে একে ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সির জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। সেটার মুল কারণ হচ্ছে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এবং বড় অংকের অর্থ খুব সহজেই লেনদেন করা যায়। বিটকয়নের দাম দেখতে দেখতে 2017 সালের শুরুতে 900$ এ পোঁছায়। সর্বোচ্চ 1 বিটকয়েন এর দাম 4500$ প্লাস হয়েছিল। আশা করি ক্রিপটো কারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি ধারণা দিতে পেরেছি। এর পরও যদি আপনার কনফিউশন থাকে তো গুগল মামার কাছে আরও জেনে নিতে পারেন।
ক্রিপটোকারেন্সি ট্রেডিং:
আগেই বলি ক্রিপটোকারেন্সি বিটকয়েন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে বৈধ নয়।
বর্তমান বাজারে হাজারের অধিক ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি আছে। যেগুলির দাম 0.000001-4500$ পযর্ন্তও আছে। আপনি সেই কারেন্সিগুলোই ক্রয়-বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। ধরুন, বিটকয়েনের বর্তমান দাম 4500$ আর ডগি কয়েনের দাম 0.0021$। 50000 ডগি কয়েন কিনে নিলেন 0.01 বিটকয়েন দিয়ে। 2 দিন পর বিটকয়েন 4000$ আর ডগি কয়েনের দাম একই থাকল। তখন বিক্রি করলে আপনি পাবেন 0.015 বিটকয়েন। সুতরাং আপনি 0.005 বিটকয়েন লাভ পাবেন। ঠিক এভাবেই আপনি অন্যান্য কারেন্সিগুলিও ক্রয়-বিক্রয় করে অনলাইনেই আয় করতে পারবেন।
আর লসের ব্যাপারটা তেমন কঠিন নয়। 50000 ডগি কয়েন কিনলে সেটা 50000 ই থাকবে। এক কয়ন ও কমবে না। শুধুমাত্র 0.0021$ থেকে দাম কমলে সাময়িকভাবে বিক্রয় থেকে বিরত থাকুন। অথার্ৎ কয়েনগুলো বিক্রয় না করে জমিয়ে রাখুন। সেটা 1 দিন থেকে 6 মাসও হতে পারে। তবে ট্রেড করার আগে আপনাকে ভালভাবে গবেষণা করতে হবে, কয়েন সম্পর্কে ও বাজার সম্পর্কে।