ডেস্ক নিউজ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে উপকূলীয় ৯টি জেলার ২৭টি উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে ১৪টি উপকূলীয় জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এবং তা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার মানুষের সহায়তায় সাড়ে ১৬ হাজার শুকনা ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট সংশ্নিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেসব মৎস্য ও কৃষিজীবী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে। মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। যাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তাদের কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে স্বল্প সুদে ঋণ এবং বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার সরবরাহ করা হবে।
এনামুর রহমান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আনসার ভিডিপির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য যথেষ্ট মাস্ক এবং স্বাস্থ্য উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামনগর, আশাশুনি, কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, শরণখোলা, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, মঠবাড়িয়া, বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, পটুয়াখালী সদর, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, চরফ্যাসন, মনপুরা, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর, হাতিয়া, রামগতি ও কমলনগর।