বিজিবি দিবস আজ। নানা চরাই-উতরাই পেরিয়ে রামগড় ব্যাটালিয়ান থেকে আজকের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। শোনাবো এই বাহিনীর এক দল সৈনিকের অসামান্য সাফল্যের কথা। খাগড়াছড়ি সীমান্তে অর্থ বরাদ্দ ছাড়াই ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক নিজেদের শ্রমেই তৈরি করেছেন বিজিবি সদস্যরা। যে সীমানায় আগে যেতে হতো কয়েকদিন পায়ে হেঁটে, সেখানে নিজেদের তৈরি রাস্তাতেই বিশেষ যান এটিভি নিয়ে ঘুরে আসেন একদিনেই।
পাহাড়ের গা ঘেঁষে আঁকাবাঁকা বন্ধুর পথ। কখনও পানির ছড়া কিংবা ঘন জঙ্গল। তবু বিরামহীন ছুটে চলা সীমান্ত পাহারাদারদের।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি শহর থেকে পঁচিশ কিলোমিটার দূরে পানছড়ি, সেখান থেকেও সমান দূরত্বে লোগাং। সীমান্তঘেষা অঞ্চল ঢাকা পাহাড় জঙ্গলে। কিছুদিন আগেও এই এলাকার সীমানা পিলারগুলো দেখভালের জন্য কয়েকদিন পায়ে হেঁটে বেড়াতে হতো। কিন্তু এখন সহজেই পুরো এলাকা ঘোরা যায়, নতুন বাহন অল টেরেইন ভেহিকেল বা এটিভির কল্যাণে।
তবে গল্পটা এতো সহজ ছিলো না। নতুন বাহনগুলো যুক্ত হওয়ার পর সেগুলো চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন কর্মকর্তারা। রাস্তা তৈরির প্রকল্পও যখন নেই তখন কি করার? কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন রাস্তা তৈরি করবেন নিজেরাই। হাসিমুখে ময়দানে নামেন সৈনিকরাও। পাহাড় জঙ্গলের মধ্য দিয়ে রাস্তা তৈরির এ সংগ্রাম চলে বছরখানেক।
কোনো বরাদ্দ ছাড়া, স্রেফ সৈনিকদের শ্রমে ঘামে তৈরি হয় এই রাস্তা। দৈর্ঘ্যটাও কম নয়। পঞ্চাশ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা এরই মধ্যে তৈরি করে ফেলেছেন তারা।
এই এটিভিগুলো ৯০০ থেকে ১০০০ সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন। উঠতে পারে ৭০ ডিগ্রি উঁচুতে। কাঁদা বালু মাটি পানি কোনো কিছুই বাধা নয়। ঠিক যেমন এই পথ তৈরিতে কোনো কিছুই বাধা হতে পারেনি, বিজিবি জওয়ানদের।