ডেস্ক নিউজ
গণপরিবহনে সৃষ্টি হচ্ছে সম্ভাবনার নতুন রুট। বিলাসবহুল ও দ্রুত যাতায়াতের জন্য আরামদায়ক বাস সার্ভিস চলাচল রয়েছে দূরপাল্লার অনেক গন্তব্যে। পদ্মা সেতু চলু হওয়ার মধ্য দিয়ে দূরপাল্লার আরামদায়ক বাস সার্ভিসে আরও রুটের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এতে দীর্ঘদিন প্রত্যাশিত অনেক এলাকার মানুষ এই সার্ভিস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
অপরদিকে এই রুটে বিলাসবহুল বাস সার্ভিস পরিচালনার জন্য গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরাও অর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। এছাড়া সড়ক পরিবহন সেক্টরে বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। পদ্মা সেতু ঘিরে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিক ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে। সড়ক পরিবহন সেক্টরেই ১ হাজার কোটি টাকার মতো নতুন বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি আরামদায়ক যাতায়াতের জন্য সড়কে নামছে অত্যাধুনিক বাস।
জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, খুলনা ও যশোর রুটেই বেশি চলাচল করে। আর কিছু বিলাসবহুল বাস সার্ভিস বেনাপোল, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত হলেও এগুলো মাওয়া, আরিচাসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে নদী পাড় হতে হয়। একারণে ফেরিতে উঠতে গিয়ে পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতে। কখনো কখনো দিনের পর দিন পার হয়ে যায় ফেরিতে উঠার লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে। কোন কোন সময় বেশি টাকা দিয়ে ফেরিতে উঠতে হয়। ঢাকা থেকে কুয়াকাটায়সহ বিভিন্ন রুটে সরাসরি বাস পরিচালনা করতে পারবে বিভিন্ন কোম্পানি। ঢাকা-কলকাতা রুটেও নতুন নতুন কোম্পানির বিলাসবহুল বাস পরিচালিত হবে।
পরিবহন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই রুট চালু হলে যশোরের বাস নির্মাণ শিল্প এলাকায় বাড়বে উৎপাদন। সহজেই এই এলাকার তৈরি বাস সারা দেশে পাঠানো যাবে। বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাগুরাসহ অন্য জেলাগুলোর পরিবহন মালিকরা এই ক্ষাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের কারণে পরিবহন কোম্পানিগুলোর অত্যাধুনিক বাস বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হবে। পুরো বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। নতুন বাস নামলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে, বেকারত্ব কমবে।