নিউজ ডেস্ক
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশের মানুষ অসহায় জীবনযাপন করেছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন কিছু কাজ করেছি। যা মানুষের ভেতরে আস্থা তৈরি করেছে। এরপর আট বছর পর আবার ক্ষমতায় এলে এক দশকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে গতকাল সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এডিবির রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ১৩তম অর্থনীতির দেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম। বিশ্বে আমরা ৩০তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছি। ইনশাআল্লাহ আরো পারব। সারা বিশ্বে আমরা অবস্থান করে নিয়েছি। আমরা এখন ৮ দশমিক ১ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মাত্র ১০ বছরে এই অর্জন করতে পেরেছি। কারণ আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করেছি।
বাংলাদেশের উন্নতি অনেকেই পছন্দ করতে পারে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরে যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল। তারাই চক্রান্ত করে যাচ্ছে, করেই যাবে। কিন্তু এই বাংলাদেশে আজ প্রতিটি ধর্মের মানুষ নিজ নিজ অধিকার নিয়ে সুন্দরভাবে বসবাস করছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো সুন্দরভাবে হচ্ছে। আমাদের পুলিশবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা দিনরাত পরিশ্রম করে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। অথচ বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে ২৬ জন পুলিশকে হত্যা করেছে। ৫০০ মানুষকে তারা পুড়িয়ে মেরেছে। প্রতিটি অনুষ্ঠান যাতে ভালোভাবে, নিরাপদে হয় সেই ব্যবস্থা পুলিশ করেছে। ঈদের নামাজ থেকে শুরু করে সব অনুষ্ঠানেই তারা আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
এমপিদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প দেয়া হয়েছে। উন্নয়নের কাজ দেয়া হয়েছে। সেই কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখা দরকার। তাহলে দেখবেন কাজগুলো সুন্দর ও সুচারুভাবে হচ্ছে। দেশের উন্নয়নটাও ত্বরান্বিত হচ্ছে।