ডেস্ক নিউজ
রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের একটি পোশাক কারখানার ফটকে সাঁটানো একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এতে লেখা রয়েছে ১০০ জন অপারেটর ও ২০০ জন হেলপার (শিক্ষানবিস শ্রমিক) নিয়োগ দেয়া হবে। অক্টোবরের ৩১ তারিখের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। গত দুই বছর এমন বিজ্ঞপ্তি দেয়নি কারখানাটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কারখানার কর্মকর্তারা বলছেন, ‘প্রচুর অর্ডার আসছে। দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই মালিক জরুরী ভিত্তিতে নতুন কর্মী নিতে বলেছেন। সে কারণেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি।’ শুধু মিরপুরের এ কারখানা নয়, রাজধানী ও আশপাশের জেলা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোর ফটকে টানানো হচ্ছে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। প্রচুর যে অর্ডার আসছে তার সত্যতাও মিলছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র তথ্য মতে। সংগঠনটি বলছে, আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের জন্য মহামারী পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ বেশি অর্ডার এসেছে। যা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন সক্ষমতার চেয়েও বেশি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বাড়ছেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারে সেনাশাসনের কারণে কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে। তার আগেই চীন থেকে কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করে আসছেন ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতারা। এছাড়া করোনাকালে ১৭১টি নতুন পোশাক কারখানা চালু হয়েছে।
জানা গেছে, রফতানিমুখী পোশাক শিল্পে কারখানা ও শ্রমিকের সংখ্যার সঠিক কোন হিসাব নেই। তবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিইডি) ‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে রফতানিমুখী ৩ হাজার ৩৮৪ পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন ২৬ লাখ ৬৬ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে ১১ লাখ ১৩ হাজার পুরুষ ও ১৫ লাখ ৫৩ হাজার নারী। বিজিএমইএ নেতা মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘আসলে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ-এর সদস্যের বাইরেও এক হাজারের মতো কারখানা আছে, যেগুলোতেও ভাল মানের পোশাক তৈরি হয়; কাজও করেন অনেক শ্রমিক। সব মিলিয়ে শ্রমিকের সংখ্যা যোগ করলে ৪০ থেকে ৪২ লাখের মতো হবে বলে জানান রুবেল।
পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানান, বিপুলসংখ্যক মানুষকে করোনার টিকা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। তাই সেসব দেশের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের জন্য করোনার আগের মতো ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। তা ছাড়া মিয়ানমারে সেনাশাসনের কারণেও কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তর হয়েছে। বড় দিনকে কেন্দ্র করেও প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। তার আগেই চীন থেকে কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করেছেন ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতারা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন (বিজিএমইএ)’র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ক্রেতাদের ক্রমবর্ধমান পোশাক চাহিদা পূরণে পোশাক শিল্পে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর্মীর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে, সংখ্যায় যা প্রায় ৩ লাখ হতে পারে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত কার্যাদেশ পূরণে গার্মেন্টস শিল্পে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন, তবে আমাদের দেশে দক্ষ ও অদক্ষ পোশাক শ্রমিক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাব রয়েছে। সরকার দক্ষতা উন্নয়নে মনোনিবেশ করলে তা পোশাক শিল্পে আরও কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়ক হবে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যে সফল টিকাদানের পর অধিকাংশ বিপণি কেন্দ্র খুলেছে এবং মানুষের হাতে পোশাকের পেছনে ব্যয় করার মতো অর্থও আছে।
পোশাক খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি স্নোটেক্স গ্রুপ। তারা বছরে ২৫ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে। তাদের স্নোটেক্স আউটারওয়্যার ও স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যারে ৬ হাজার নতুন শ্রমিক নিয়োগ পেয়েছেন। আরও ১ হাজার নতুন শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, ‘২০১৯ সালের তুলনায় আমাদের ক্রয়াদেশ বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ। সক্ষমতা আরও বেশি হলে ক্রয়াদেশ আরও বেশি নেয়া যেত।’ চট্টগ্রামের ‘ডেনিম এক্সপার্ট’ ক্রয়াদেশ বাড়ায় গত তিন-চার মাসে ৩৫০ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। আরও সাড়ে তিন শ’ শ্রমিক নেবে তারা। ডেনিম এক্সপার্টের এমডি মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ক্রয়াদেশ দিতে আগ্রহী ক্রেতাদের ফোন প্রতিদিনই পাচ্ছি। ক্রয়াদেশের এমন চাপ গত পাঁচ বছরে পাইনি। তবে বর্তমানে বড় সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকের সঙ্কট। চাহিদা অনুযায়ী লোক পাচ্ছি না। সে কারণে উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ানো যাচ্ছে না।’
টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব জানান, তার গ্রুপটি একটি নতুন জ্যাকেট তৈরির কারখানা স্থাপন করেছে, যার সক্ষমতা ৮৫ লাইন। এর মধ্যেই ৬৩ লাইন সচল হয়েছে, যাতে কাজ করছেন ৮ হাজার শ্রমিক। তিনি বলেন, কারখানাটি প্রথমে ১৮টি লাইন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে, এরপর কোভিডের মধ্যেও গত জুলাই থেকে আরও শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। আমরা আরেকটি আইইডি প্লাটিনাম ডেনিম কারখানা নির্মাণ শুরু করেছি, এতে জিরো ডিসচার্জ ২২ লাইনের ওয়াশিং প্লান্ট থাকবে। আগামী বছরের ডিসেম্বর থেকে এটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, মহামারীকালে আমরা পাঁচ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছি, এখন আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৭ হাজার। আগামী চার মাসের মধ্যে আমরা আরও দুই হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছি। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামিম এহসান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন বিপুল অর্ডার আসছে, তাই আমাদের ক্রেতা বাছাইয়ে মনোযোগী হয়ে সস্তার চেয়ে তুলনামূলক দামী পণ্যের অর্ডার নিতে হবে। অধিক পরিমাণে উৎপাদনের চাইতে মূল্য বাড়িয়ে মুনাফা সীমা বাড়ানোর এটাই উপযুক্ত সময়।’ স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম শাওন বলেন, ‘মহামারীর সময়েও আমরা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছি এবং প্রায় ২ হাজার কর্মীকে নিয়োগ দিয়েছি। আরও ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, চলতি মাসে তাঁর প্রতিষ্ঠান আরও ৬ লাইন বৃদ্ধি করে ৮৬টিতে উন্নীত করেছে। ক্রেতার সম্মতি নিয়ে বাড়তি কিছু কাজ আমরা সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়ে করাচ্ছি, স্বল্প সময়ে ক্রেতাদের তরফ থেকে সরবরাহের চাপ থাকার কারণেই এমনটি করতে হচ্ছে। শোভন ইসলাম জানান, তারা এখন ভাল দর পাচ্ছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি মূল্যও দিচ্ছে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।’ তিনি আরও বলেন, ‘মহামারীর সময়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অনেক কারখানা তাদের উৎপাদন সক্ষমতার একাংশ বন্ধ রাখলেও, বিপুল অর্ডারের কারণে তারা পুনরায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেছে।’ এসব কারখানাও এখন দক্ষ শ্রমিকের সন্ধান করছে বলে জানান তিনি।
১৭১টি নতুন পোশাক কারখানা চালু ॥ মহামারী করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে গত বছর একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ায় পোশাক রফতানি ব্যবসা বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়ে যায়। বছরের শেষ দিকে ব্যবসা আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। করোনাকালে কমপক্ষে ১৭১টি নতুন পোশাক কারখানা উৎপাদনে এসেছে। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, গত বছরের জুন থেকে গত মাস পর্যন্ত ৯৬টি নতুন কারখানা তাদের সদস্যপদ নিয়েছে। বর্তমানে সব কটিই উৎপাদনে রয়েছে। অন্যদিকে নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ জানায়, গত বছর ৩৩টি কারখানা সদস্যপদ নিয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ১৯, নারায়ণগঞ্জে ১০ ও চট্টগ্রামের ৪টি কারখানা। আর চলতি বছর ৪২টি নতুন কারখানা সদস্যপদ নিয়েছে। তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ১৭টি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৩টি করে কারখানা রয়েছে। জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, করোনার মধ্যে পুরনো অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। আবার নতুন কারখানাও চালু হয়েছে। তবে এই কঠিন সময়ে নতুন বিনিয়োগ আসাটা ইতিবাচক। তাতে সামগ্রিকভাবে পোশাক শিল্পের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, নতুন আসা কারখানার মধ্যে অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি। ভবিষ্যতে এই কারখানাগুলোর মধ্যেই কিছু বড় হবে। এদিকে নতুন কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি ব্যবসাও সম্প্রসারণ করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। পোশাকের পাশাপাশি বস্ত্র খাতেও নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে। বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মধ্যে খাতটিতে বিনিয়োগ ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা ২১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা হবে। গত নবেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ১০টি নতুন বস্ত্রকল সংগঠনটির সদস্যপদ নেয়ার জন্য আবেদন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে সুতা ও কাপড় উৎপাদনকারী কারখানা। কারখানাগুলো আগামী দুই বছরে উৎপাদনে আসবে। এসব কারখানায় বিনিয়োগ হচ্ছে ৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা।
সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড পোশাক রফতানি ॥ করোনা মহামারীর মধ্যেই গত মাসে দেশের উদ্যোক্তারা মোট ৪১৭ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার পণ্য রফতানি করেছেন। যার মধ্যে সাড়ে ৮২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। অতীতে আর কোন মাসেই এত বিপুল পরিমাণ পণ্য রফতানি হয়নি। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ৩৯১ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল বাংলাদেশ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বাড়ছেই। গত ৫ অক্টোবর প্রকাশিত ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল এ্যান্ড এ্যাপারেলস (অটেক্সা) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৪৩২ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার ডলারের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি গত বছরের একই সময়ে আমদানি করে ৩৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পোশাক। এ হিসাবে আমদানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পোশাকের অধিকাংশই কটনভিত্তিক। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে মার্কিন বাজারে সবচেয়ে বেশি আমদানি হওয়া পণ্য হলো মেনস বা বয়েজ কটন ট্রাউজার। ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ৯৮ কোটি ডলারের এ পণ্য আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া উইমেন বা গার্লস কটন স্ল্যাকস, মেনস বা বয়েজ নিট শার্ট, ওমেন বা গার্লস নিট ব্লাউজে পোশাক পণ্যগুলোর আমদানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৮, ৭৪ ও ৫৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে বড়দিন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ-এর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক মানুষকে করোনার টিকা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। তাই ওই দেশের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী গ্রীষ্ম ও বসন্ত মৌসুমের জন্য করোনার আগের মতোই ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। কিছু ক্রয়াদেশ চীন থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করেছেন আমেরিকার ক্রেতারা। ভিয়েতনামে লম্বা সময় লকডাউন থাকার কারণেও কিছু ক্রয়াদেশ এসেছে। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি ক্রয়াদেশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তার সুফল আগামী দিনগুলোতে পাওয়া যাবে।’ নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ-এর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘মার্কিন ক্রেতাদের জন্য বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমেই আরও বাড়বে বলে আমরা মনে করি। আমাদের হিসাব বলছে, চলতি বছরে দেশটিতে রফতানি প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশেরও বেশি হবে।’ তিনি বলেন, ‘কারখানাগুলোতে প্রচুর ক্রয়াদেশ রয়েছে। সে জন্য আগের চেয়ে দামও কিছুটা বেশি নিতে পারছেন উদ্যোক্তারা। আশা করছি, আগামী মাসগুলোতে নিট পোশাক রফতানিতে ২০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হবে।’ তবে সুতার দামের অস্থিরতার কারণে রফতানিকারকরা খুব একটা স্বস্তিতে নেই বলেও উল্লেখ করেন হাতেম।